খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। খাদ্যশস্য সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে। তাই খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়।
আজ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মন্ত্রী।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ৬টি বিভাগের আওতাধীন সকল জেলার স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, মিল মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রেরণ করা হয়েছে।
কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে এবারের বোরো সংগ্রহ অভিযানে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। ধান-চাল ক্রয়ে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের সময় ওজনের অতিরিক্ত ধান নেয়া যাবে না এবং কোনভাবেই কৃষককে হয়রানি করা যাবে না।
খাদ্যশস্য সংগ্রহে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল, রেশনের চাল বা পুরাতন চাল দেয়া যাবে না। যদি কোন মিলার তা দেয়; তবে সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনভাবেই সেই চাল গ্রহণ করবে না। যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট মিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী।
পাশাপাশি যারা মৌসুমী ব্যবসায়ী, ধান ক্রয় করেন; তাদেরকে ফুড গ্রেন লাইসেন্স নিতে হবে। কী পরিমাণ ধান ক্রয় করলেন এবং কোন মিলে তা সরবরাহ করলেন; সেই চালানের নম্বরসহ একটা প্রতিবেদন প্রতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট খাদ্য অফিসে দাখিল করতে নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো বাংলাদেশও একটা মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে; করোনা পরবর্তী খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পরের সাথে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিত্য-নতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণ ও মিল মালিক প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বৈশাখী নিউজ/ এপি