পোর্তোতে পৌঁছেছে চেলসি-ম্যানসিটি, বাড়ছে সমর্থকদের ভিড়

আপডেট: May 28, 2021 |

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে অংশ নিতে পর্তুগালের পোর্তো শহরে পৌঁছেছে চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছে ক্লাবগুলোর সমর্থকরা।

স্টেডিয়ামে আসন সংখ্যা সীমিত। মাঠে প্রবেশের টিকিট নেই জেনেও সমর্থনরা ভিড় করছেন পোর্তোতে। শেষ মুহূর্তে ফাইনালের ভেন্যু পরিবর্তনের বিড়ম্বনার সঙ্গে বারবার কোভিড টেস্টের ঝক্কি, প্রিয় ক্লাবকে সমর্থন জানাতে সবই মেনে নিচ্ছেন ভক্তরা।

পোর্তোর রাস্তা ঘাট, অলিগলি এখন ভিনদেশিদের পদচারণায় মুখর। পুরো নগর জুড়েই সাজ সাজ রব। উপলক্ষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।

পোর্তোতে পা রেখেছে দুই ফাইনালিস্ট চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি। চেলসির জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা নতুন নয়। তবে ম্যান সিটির ফুটবলারদের সঙ্গে, সমর্থকদের জন্য এ এক বিরল

অভিজ্ঞতা। ক্লাব ইতিহাসে এই প্রথম ইউরোপ সেরার শিরোপা মঞ্চে সিটিজেনরা।

কোভিডের জন্য শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন হয় ফাইনালের ভেন্যু। ইস্তাম্বুল থেকে সরিয়ে খেলার নতুন ভেন্যু নির্বাচিত করা হয় পোর্তো। পর্তুগালে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায়, মাঠে বসে ফাইনাল দেখার সুযোগ পাবেন সমর্থকরা। তবে সেটাও সীমিত আকারে।

৫০ হাজার ধারণ ক্ষমতার দৃষ্টিনন্দন এস্তাদিও দো দ্রাগাওয়ে ১৬ হাজার পাঁচশ সমর্থক মাঠে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। সঙ্গে থাকতে হবে কোভিড নেগেটিভ সনদ। যার জন্য গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। এত কিছুর পরও প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে এসে এসব হাসি মুখে মেনে নিচ্ছেন সমর্থকরা।

ফাইনাল দেখেতে আসা এক সমর্থক বলেন, ফাইনাল দেখতে পোর্তো সফরে আমার যে অর্থ ব্যয় হবে, তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে কোভিডের পিসিআর ও অ্যান্টিজেন টেস্টে। চারদিনের ব্যবধানে আমাকে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করাতে হবে।

পোর্তোতে আসা আরেক সমর্থক জানান, এখানে আসা আমার জন্য দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। প্রতি পদে পদে আমাকে কোভিড টেস্ট করতে হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার বাজেট ছিল ৫০০ ইউরো। তবে সেটা ৭০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অবশ্য তাতেও আক্ষেপ নেই। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল তো আর প্রতিদিন দেখতে পাবো না।

ফাইনালের টিকিটের দামও বেশ চড়া। সর্বনিম্ন ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ ইউরো খরচ হবে একটি টিকিটের জন্য। চেলসি ও ম্যানসিটির ৬ হাজার করে দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন। পোর্তোতে আসা অনেকের কাছেই টিকিট নেই। তারপরও দলকে সমর্থন দিতে হাজার মাইল পথ পাড়ি দেওয়া ফুটবল পাগল এই ভক্তদের।

এদিকে যে কোনো ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে স্টেডিয়ামে তৎপর থাকবে পুলিশের। যার জন্য ইংল্যান্ড থেকেও এসেছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৮ পুলিশ অফিসার।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর