এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া যৌক্তিক: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য সরকার আন্তরিক। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। তিনি (খালেদা জিয়া) যখন, যেখানে যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই চিকিৎসা চলছে। এ নিয়ে সরকারের প্রতি বিএনপির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা উচিত।

আজ সোমবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, একজন আসামিকে মানবিক কারণে নির্বাহী আদেশে জেলের বাইরে অবস্থান ও সুচিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বিএনপির পক্ষ থেকে অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া দরকার।

জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা যৌক্তিক বলে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।

ভোটার আইডি আর জাতীয় পরিচয়পত্র এক নয়। সারাবিশ্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়। সেই আলোকে বাংলাদেশেও জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকাই যৌক্তিক।

এর আগে প্রেস ক্লাবে মানস আয়োজিত মাদকবিরোধী আলোচনা সভায় অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, মাদক থেকে দূরে রাখতে পারিবারিক মোটিভেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য অভিভাবকদের দায়িত্ব নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমি আজীবন অধূমপায়ী। আমার বাবা ছিলেন ধূমপায়ী। ৮ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি বাবাকে বলেন, সিগারেট না ছাড়লে আপনার ক্যান্সার হয়ে যাবে।

তখন বাবা আমাকে শপথ করিয়ে ছিলেন, আমি যেনো জীবনে সিগারেট না খাই। বাবার সঙ্গে করা শপথ অনুযায়ী আজও সিগারেট খাই নি।

তিনি বলেন, বন্ধুরা অনেক চেষ্টা করেছে। বলেছে একটা টান দে, একটা খা। আমি তা করিনি। কারণ একটানের পরই আরেকটান, একটা খেলেই আরেকটা খাওয়ার বিষয় আসবে। এ জন্য বাবাকে ধন্যবাদ জানাই।

ড. অরূপরতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি