দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী ইসরাইল

আপডেট: June 17, 2021 |

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়াতে চায় ইসরাইল। দেশটির সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে জেরুজালেম পোস্ট।

খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি এমন ইচ্ছার কথা জানান। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিন দেশ ইসরাইলের প্রতি সুমনোভব পোষণ করে না বলেও খবরে বলা হয়।

জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রনাই সর্বশেষ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে ফিলিস্তিনে ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছে।

গত মাসে ১১ দিনব্যাপী এই যুদ্ধে গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের অর্ধ শতাধিক নারী ও শিশুসহ ২৮০ জনের বেশি নিহত হয়। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রকেট হামলায় দুই শিশুসহ ইসরাইলের ১২ জন নিহত হয়।

জেরুজালেম পোস্টের খবর অনুসারে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিন দেশ জতিসংঘের প্রতি ফিলিস্তিনে হতাযজ্ঞ থামানোর আহ্বান জানিয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে এই তিন দেশের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে তারা ইসরাইলি দখলদারিত্ব অবসানের আহ্বান জানিয়েছে। দেশ তিনটি ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পূর্বে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বলত।

সিঙ্গাপুরের ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি বলেন, এই তিন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেতারা ইসরাইলের যে সমালোচনা করে সেটা যর্থাথ নয়। তাদের বক্তব্যে সংঘাতের আসল চিত্র ফুঁটে ওঠে না। ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের সংঘাত; ফিলিস্তিনি মানুষের নয়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক নিউজ এজেন্সির সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাতকারে ইসরাইলের এই রাষ্ট্রদূত বলেন, হামাস হলো একটি ইহুদিবিরোধী সংগঠন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা বিতর্কে লিপ্ত হয় তারা হামাসের ‘গোড়া এবং ফ্যাসিস্ট’ দৃষ্টিভঙ্গি জানে না। তবে হামাস ‘ইহুদিবিরোধী’ এমন বক্তব্য প্রত্যাখান করেছে।

সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি সর্বশেষ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে স্বীকার করে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে তার ওপর যথার্থ প্রভাব বিস্তার করতে যেকোনো পক্ষের একমাত্র উপায় হলো ‘ইসরাইলে সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা।

তিনি বলেন, আমরা কথা বলতে, সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী এবং সজাগ থাকা পর্যন্ত সম্পর্ক তৈরির দরজা সব সময় উন্মুক্ত। আমি মনে করি না, আমাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন।

এশিয়ায়, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং মিয়ানমারে ইসরাইলের দূতাবাস আছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর