রূপগঞ্জের পোড়া কারখানা থেকে ৫০ মরদেহ উদ্ধার: ফায়ার সার্ভিস
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কার্টন কারখানার আগুনে পুড়ে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বাহিনীর ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এরই মধ্যে পুড়ে মারা যাওয়া ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিএনএ ইউনিটের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেবাশীষ জানান, বেশিরভাগ মরদেহই উদ্ধার করা হয়েছে ভবনের চার তলা থেকে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় এখনও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়নি। সেসব তলায় অভিযানের পর মৃতের প্রকৃত সংখ্যা জানানো যাবে।
তিনি আরও জানান, জরুরি বহির্গমন পথ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বের হতে পারেনি। তাদের বেশিরভাগ ভবনের ছাদে উঠে যান।
ভবনটিতে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, এসব পদার্থের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির কার্টন কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
আগুনে বৃহস্পতিবার দুজনের মৃত্যু হয়। একজনের মৃত্যু হয় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে। শুক্রবার উদ্ধার হওয়া ৪৯ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ জন।
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেজান জুস কারখানার সাততলা ভবনটির নিচতলায় কার্টন ফ্যাক্টরি থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনের লেলিহান শিখা একপর্যায়ে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এমন প্রায় ২৫ জনকে রশি দিয়ে ছাদ থেকে নামিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, হাশেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির কারখানার নিচতলার কার্টনের ফ্যাক্টরি থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা, কাঞ্চন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন ডাম্পিং চলছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘এটি একটি ফুড বেভারেজ কারখানা। এখানে জুসসহ কোমল পানীয় তৈরি করা হয়। ওই কারখানার নিচতলার কার্টনের ফ্যাক্টরিতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।’