ভারতে তাবলিগ জামাত সম্পর্কিত মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করায় পুলিশ সুপারদের সমন

তাবলিগ জামাত সম্পর্কিত মামলায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করায় ক্ষুব্ধ ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট তিন জেলার পুলিশ সুপারকে সমন পাঠিয়েছে।
শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে তিনটি জেলার পুলিশ প্রধানদের ব্যক্তিগতভাবে আগামী ১৫ জুলাই আদালতে তলব করেছে।খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
হাইকোর্ট উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুর, হাপুর ও মউ জেলার পুলিশ সুপারকে তলব করেছে। আদালত তাবলিগ জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারা চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
উত্তর প্রদেশে গতবছর কয়েক মাস ধরে জেলে থাকা বিদেশি তাবলিগ জামাতের মামলায় পুলিশের মনোভাব নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এ মামলায় ১৮ বিদেশি তাবলিগ জামায়াতের সদস্যও অভিযুক্ত হিসেবে জড়িত।
তিন জেলার পুলিশ প্রধানকে আগামী ১৫ জুলাই ব্যক্তিগতভাবে হাইকোর্টে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন এখন পর্যন্ত ওই মামলায় হাইকোর্টে চার্জশিট এবং কেস ডায়েরি পেশ করা হয়নি তা তিন জেলার পুলিশ প্রধানদের ব্যাখ্যা করতে হবে।
৮ জুন ওই মামলার শুনানি চলাকালীন দেওয়া আদেশের অমান্যতা নিয়ে হাইকোর্ট অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিল। হাইকোর্ট বলেছে তাবলিগ জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির কেন ৩০৭ ধারা চাপানো হয়েছিল তা মউ জেলার এসপিকে ব্যাখ্যা করতে হবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদেশি ও ভারতীয় তাবিলিগ জামাতের মুসল্লিরা নয়াদিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় অবস্থিত মার্কাজে এসেছিলেন। ভারতে সে সময়ে করোনাভাইরাসের ঢেউ ছিল না বা কোনও করোনার প্রোটোকলও ছিল না।
কিন্তু তা সত্ত্বেও, উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুর এবং হাপুর জেলার বিদেশি তাবলিগ জামায়াতিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে মহামারি আইন ও বিদেশি আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে জামাতের সদস্যরা পুলিশ চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং মামলাটি বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিল।
শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিদেশি এবং ভারতীয় তাবলিগ সদস্যদের দায়ের করা আবেদনের শুনানি করে। বিচারপতি অজয় ভনোটের একক বেঞ্চ এই শুনানি করেছে।
আইনজীবী আদিল আহমেদ আবেদনকারীদের পক্ষে সাফাই দিয়ে সব তথ্য হাইকোর্টের সামনে উপস্থাপন করেন। ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জুলাই।