পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থাকতে দেয়া হবে না : চসিক মেয়র

আপডেট: July 30, 2021 |

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বৈধ বা অবৈধ হোক পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ আবাসন বসতি থাকতে দেয়া হবে না।

জনস্বার্থে জানমাল রক্ষায় এসকল বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে লালখান বাজারস্থ শাহ্ গরীব উল্লাহ্ হাউজিং ও কুসুমবাগ হাউজিং সোসাইটিতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বস কবলিত এলাকা পরিদর্শণকালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখানে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটলেও বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি। তবে যে কোন সময়ে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটবার আশংকা রয়েছে। নিকট অতীতে ভারী বষার্য় টাইগারপাসে বড় ধরণের পাহাড় ধ্বংসের ঘটনায় অগনিত প্রাণহানি ঘটেছে। তারপরও জনসচেতনতা আসেনি, মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে যারা পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে বসতি গড়েছেন তাদের স্বার্থেই এসব গুড়িয়ে দেয়া হবে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়গুলো বালিয়ারী। পাহাড়ের গাছ-পালা নিধন এবং লাগামহীন পাহাড়ের ভূমি কর্তনের ফলে এগুলো অরক্ষিত ও নড়বড়ে প্রায়। ভারী বর্ষায় অব্যাহত ঢলে প্রতিনিয়ত ভেঙ্গেপড়ে। কারন পাহাড় প্রকৃতিরই সম্পদ। তাকে লালন-পালন-ধারণ করতে পারিনি বলেই বারবার একই ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

তিনি পাহাড় ধ্বস রোধে নগরীর সকল পাহাড়ের গায়ে পরিকল্পিত রিটানিং দেয়াল নির্মাণের প্রস্তাবনা পেশ করে বলেন, এতে পাহাড়ের সুরক্ষা হবে এবং অতিবৃষ্টিতে পাহাড় থেকে মাটি নেমে খাল-নালা-নদর্মা ভরাট হওয়া বন্ধ হবে।

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনসহ নগর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে পরিবেশ ও পহাড় সুরক্ষায় সব ধরণের কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বিশেষ করে রিটানিং ওয়াল ছাড়া কোন পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে আবাসন ও স্থাপনা নির্মাণের নক্সা অনুমোদন না করার জন্য সিডিএ’র প্রতি অনুরোধ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ওয়র্ডে ঝুঁকিপুর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ৮৫ টি পরিবারের ২৫০ জন সদস্যকে ফিরোজ শাহ্ কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় প্রদান করা হয়। এ আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম গত চারদিন যাবৎ খাবার বিতরণ করে আসছে।

এই কার্যক্রমের আওয়াতায় নাসিরাবাদ সরকারি মডেল স্কুলে আশ্রিত ৩০ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ সময় আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শণকালে মেয়র বলেন, অতি বৃষ্টি জনিত পাহাড় ধ্বসের আশংঙ্খা যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আশ্রিতিদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেন।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর