‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব’

আপডেট: July 31, 2021 |

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অবলম্বনে রচিত ডিজিটাল বইয়ের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। আজ শনিবার আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাঙালির স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের যুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠন, আর্থিক সহায়তাদান এবং ভারতের আশ্রয় নেওয়া কোটি শরনার্থীদের খাদ্য, চিকিৎসার জন্য ঐতিহাসিক ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অবলম্বনে কফি টেবিল বই ‘দ্য কান্ট্রি দ্যাট লিভড- ফিফটি ইয়্যারস অব ফ্রিডম অ্যান্ড দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ ডিজিটাল বইয়ের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।

আজ ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর ৫০ বছর উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প আয়োজিত গ্রন্থটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে সাংস্কৃতিক বিপ্লবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমেই গড়ে উঠতে পারে একটি অসাম্প্রদায়িক উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।

পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে দীর্ঘ সংগ্রাম শুধু স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এর লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও কার্যক্রমের বাস্তবায়ন করছিলেন। বাংলাদেশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলে দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পথে পথচলা থেমে যায়।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর অসামাপ্ত কাজের বাস্তবায়ন করছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশে বিভিন্ন উদ্যোগের বাস্তবায়ন করেছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা ৪৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে মহাকাশে স্যাটেলাইট প্রেরণ করে তার আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করেন।

পলক বলেন, ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শুধু বাংলাদেশেরই নয় সারা বিশ্বে নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জর্জ হ্যারিসনসহ বিশ্বখ্যাত শিল্পীরা ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছিলেন। কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ইউনিসেফের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীদের জন্য সহায়তা করেছিলেন।

এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহেমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আইডিয়া প্রকল্প পরিচালক আবদুর রাকিব, অ্যাপেক্স ডিএমআইটি’র সিইও ও কান্ট্রি ডিরেক্টর জারা মাহবুব। পরে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বইটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, ‘দ্য কান্ট্রি দ্যাট লিভড- ফিফটি ইয়্যারস অব ফ্রিডম অ্যান্ড দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর ডিজিটাল ভার্সন পড়তে ভিজিট করুন http://www.concertforbangladesh50.net ওয়েবসাইটে। আইডিয়া প্রকল্পের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট (বিগ) এবং অ্যাপেক্স ডাটা মাইন আইটি (অ্যাপক্সডিএমআইটি) গ্রন্থটি প্রকাশে সহায়তা করে।

উল্লেখ্য, মানবতাবাদী ব্রিটিশ ব্যান্ড গায়ক জর্জ হ্যারিসন তার দল বিটলস রবি শঙ্করের অনুরোধে নিউ ইয়র্কের মেডিসিন স্কয়ার গার্ডেনে ১ আগস্ট ১৯৭১ সালে আয়োজন করা হয় কনসার্ট ফর বাংলাদেশ।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর