করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে আবারও বিধিনিষেধ: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: August 12, 2021 |

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ফের বিধিনিষেধ (লকডাউন) দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সরকারের পরবর্তী কৌশল কী হবে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি কৌশলই আমরা অবলম্বন করব। একটা হলো বিধিনিষেধ বা লকডাউন দেয়া। আরেকটি হচ্ছে ছেড়ে দেয়া। কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।’

তা হলে পরিস্থিতি খারাপ হলে আবার লকডাউন দেবেন- এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, পৃথিবীর যে কোনো দেশে বাড়লেই, যেমন অস্ট্রেলিয়াতে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে, কারফিউ দেয়া হয়েছে।

আমেরিকাতে দেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে কেন? কারণ এর কোনো বিকল্প নেই।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছর প্রথমবারের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এর পর আরও কয়েক দফায় তা আরোপ ও শিথিল করা হয়। সর্বশেষ গত ১ জুলাই থেকে চলাচলে আবারও বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

প্রথমে ১ জুলাই থেকে জারি করা বিধিনিষেধে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা ছাড়া সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

পরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। সে সময় সব কিছুই শর্তসাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়।

ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের বিধিনিষেধ জারি হয়। এ দফার বিধিনিষেধ চলাকালে পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। জরুরি সেবা, গণমাধ্যম ও খাদ্য উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট পরিবহন ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।

শিল্প মালিকদের দাবির মুখে ১ আগস্ট থেকে খুলে দেয়া হয় রফতানিমুখী কারখানাগুলো। এরপর ৬ আগস্ট থেকে ফ্লাইট চালু করা হয় অভ্যন্তরীণ রুটে। এর পর ১১ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও গণপরিবহন চালুর মাধ্যেমে বিধিনিষেধ প্রায় পুরোটাই তুলে নেয়া হয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর