‘পর্দার অন্তরালে কারা ছিল, তা বের করার সময় এসেছে’

আপডেট: August 28, 2021 |
print news

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের হত্যাকাণ্ড ছিল না। এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এ ষড়যন্ত্রে পর্দার অন্তরালে কারা ছিল তা বের করার সময় এসেছে।

আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে (আইডিইবি ভবন) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর কর্মশক্তিতে বলিয়ান শিক্ষাদর্শন ও জাতীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। তাদের কাছে পেয়ে দেশের ১৫ কোটি মানুষ মনে করেছে বঙ্গবন্ধুকে কাছে পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি।

তারা শেখ হাসিনাকেও ১৯ বার হত্যা করতে চেয়েছিল। ওরা খুনির পরিবার। ওরা হত্যাকাণ্ড ছাড়া কিছুই বোঝে না।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি- চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই। প্রয়োজনে কবর খুঁড়ে দেখা যেতে পারে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসদ ভবন বিশ্বের সেরা স্থাপত্য। সেখানে পরিকল্পনার বাইরে কোনো স্থাপনা থাকতে পারে না। শুধু জিয়াউর রহমানের নয়, অনেকের কবরই সেখানে রয়েছে। সেগুলো সব অপসারণ করতে হবে। ’

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করার দরকার নেই। যারা সহযোগিতাকারী ছিল তাদের বিচার করার দরকার নেই। তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় থাকতে হবে। নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।’

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের যে খুনিদের বিচার হয়েছে, সেগুলো আত্মস্বীকৃত। যারা আন্তর্জাতিক খুনি, তাদের বিচার এখনো হয়নি। বড় খুনিরা এখনো বেঁচে আছে, তাদের বিচার এখনো হয়নি। এ খুনের আড়ালে কারা ছিল, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমি সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সামনে ছয়বার বলেছি তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি, আমি হিমালয় দেখতে চাই না। তাই আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ঋণ পরিশোধ করতে শুধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করলে হবে না। তার ঋণ পরিশোধ করতে হলে সোনার বাংলা গড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আইডিইবির সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ, আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শামসুর রহমান ও সদস্য সচিব বীর মুক্তিযুদ্ধা মো. ইদরীস আলী।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর