পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অপসারিত

আপডেট: September 21, 2021 |
print news

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ ছিল আরও প্রায় এক বছর চার মাস। কিন্তু তার আগেই আচমকা সোমবার রাতে তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, দিলীপের জায়গায় আনা হয়েছে বালুরঘাটের লোকসভা সদস্য সুকান্ত মজুমদারকে।

এ বিষয়ে বিজেপির একটি বিবৃতিতে বলা হয়, দিলীপ ঘোষ দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদে যাচ্ছেন।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার কিছুদিন পর মুকুল রায়কে ওই পদ দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু তিনি ওই আলংকারিক পদে সন্তুষ্ট ছিলেন না, তাই আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান। তখন থেকে সহসভাপতির পদটি খালি ছিল। বোঝাই যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষের ক্ষমতা ছাঁটাই করে ওই অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হলো।

সব মিলিয়ে মেয়াদের আগে দিলীপের অপসারণ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অনেকের মতো, পশ্চিমবঙ্গে ভোটে বিপর্যয় দিলীপের পদ হারানোর অন্যতম কারণ।

বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪-এর মধ্যে বিজেপি ৭৭টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হিসেবের ধারেকাছে ছিল না ওই সংখ্যা। তারা মনে করছেন, বিধানসভা ভোটের সময় ও তার আগে দিলীপের লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি ভোটাররা।

এ রাজ্যে বিজেপির পুরোনো নেতাদের কেউ কেউ শুধু নন, নতুন যারা যোগ দিয়েছিলেন, তাদেরও অনেকে দিলীপের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। যাদের মধ্যে প্রভাবশালী রাজ্য নেতারাও আছেন।

বস্তুত দিলীপ ঘোষের নানা রকম বিতর্কিত মন্তব্যে বেশ কিছুদিন ধরেই দলের ভেতরে ক্ষোভ দেখা দিচ্ছিল। কিছুদিন আগে বিজেপির চারজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর চলে যান বাবুল সুপ্রিয়। তিনি খোলাখুলিই বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষের আচরণের জন্য সকলে অসন্তুষ্ট হয়ে দলবদল করছেন।

তবে দিলীপের অনুসারীদের অনেকের মতো, ভোটে হারের দায় রাজ্য নেতৃত্বের থেকে অনেক বেশি কেন্দ্রীয় নেতাদের। তারা গোটা নির্বাচন-পর্বে যতটা মতামত নিয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যর্থতা ঢাকতে ‘বলির পাঁঠা’ করা হলো দিলীপকে।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর