এদেশে জন্মেছি, এদেশেই মরতে চাই: ইমরান খান

‘আমার ২৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো আদালত অবমাননা করিনি, দীর্ঘ খেলোয়াড়ি জীবনে কখনও কেউ ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলতে পারেনি। আমি সব সময় আদালতের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে চেয়েছি, কারণ এদেশে জন্মেছি, এদেশেই মরতে চাই। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে তাই আমি কখনও অন্যকে হয়রানি করার হাতিয়ার বানাইনি।’
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বুধবার প্রথম জনসভায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একথা বলেছেন।
পেশওয়ারের তার দলের কর্মী সমথর্কদের সেই জনসভায় তিনি বলেন, আমি যখন সরকারে ছিলাম তখন ভয়ংকর ছিলাম না। কিন্তু এখন আমি ভয়ংকর। বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ সংবাদ জানিয়েছে।
কর্মী-সমর্থকদের সভায় এই ভাষণ দিলেও আসলে তার এই বার্তা ছিল বিরোধীদের উদ্দেশে। সভায় ইমরান আবারও ‘বিদেশি মদতে’ তার সরকার পতনের অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোট ডেপুটি স্পিকার নাকচ করে দেয়ার পর দেশটির আদালত থেকে পার্লামেন্ট পুর্নবহাল করে অনাস্থা ভোট গ্রহণের নির্দেশ এসেছিল। শনিবার অনেক নাটকীয়তার পর অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার মধ্যরাতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট খোলা হয় এবং সেখানকার প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেকে পাঠান।