নতুন সশস্ত্র বাহিনীর গঠনের পরিকল্পনা ভারতের

আপডেট: June 14, 2022 |
print news

নতুন সশস্ত্র বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ‘অগ্নিপথ’ নামে নতুন এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৪৫ হাজার তরুণ–যুবককে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নতুন নিয়োগকৃত সৈন্যদের অস্ত্রসহ যাবতীয় ব্যয় বহনে দেশটির নির্ধারিত প্রতিরক্ষা বাজেট থেকে বরাদ্দ কেটে নেওয়া হবে। খবর এনডিটিভির

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভারতী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে দেশটির তিনবাহিনী—সেনা, বিমান এবং নৌবাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এই পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৪৫ হাজার সৈনিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগকৃতদের বয়স হবে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছরের মধ্যে। তাঁরা পরিচিত হবেন ‘অগ্নিবীর’ নামে এবং তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে ৪ বছর মেয়াদে।

আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই এই ৪৫ হাজার সৈনিক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এবং তার পর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই এই বাহিনী মাঠে নামার উপযোগী হয়ে উঠবে বলে। চার বছর মেয়াদ শেষে চূড়ান্তভাবে থেকে যাওয়া অগ্নিবীরদের ২৫ শতাংশকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে মূল বাহিনীতে। মূল বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তরা ১৫ বছর কর্মজীবন পাবেন। এবং বাকিদের এককালীন ১১ থেকে ১২ লাখ রুপি দিয়ে অবসর দেওয়া হবে। এই চার বছর মেয়াদে ‘অগ্নিপথে’ থাকাকালীন প্রত্যেক সৈনিক পাবেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপি বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ‘অগ্নিপথ’ বাহিনীতে নিয়োগের প্রক্রিয়া ভারতের অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োগের মতোই হবে। কেন্দ্রীভূত অনলাইন নিয়োগ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে এই বাহিনীতে।

তবে এরই মধ্যে, অনেকেই এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। অনেকেই বলছেন, এই পরিকল্পনা সৈনিকদের মনোবল এবং পেশাদারত্বের ওপর প্রভাব ফেলবে।

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর