ফিলিং স্টেশন ফাঁকা, রাস্তায় যানবাহন সংকট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আপডেট: August 6, 2022 |

মো: আরিফ হোসাইন, জবি প্রতিনিধি: ২০২১ সালের পর নতুন রে আবার জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। নতুন দামে কেরোসিন এবং ডিজেল ৪৩℅ শতাংশ বাড়িয়ে ১১৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনের দাম প্রয় ৫২℅ বাড়িয়ে যথাক্রমে ১৩০ ও ১৩৫ টাকা হয়েছে।

শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর হওয়ার পর শনিবার সকালে অনেক পরিবহন মালিকরা রাস্তায় গাড়ি বের করেননি। জ্বালানি তেলের বর্ধিত দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভাড়া বৃদ্ধি না করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শনিবার রাজধানী জুড়ে দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট।

মহাখালী থেকে সদরঘাট আসা আজমেরী পরিবহনের একজন যাত্রী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের থেকে বাড়তি ভাড়া নেইনি, তবে বাসের অনেক সংকট আমি প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়েছিলাম বাসের জন্য। ”

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবর শুনে শুক্রবার মধ্যরাতে রাতে রাজধানীর পেট্রোল ফার্মগুলোতে ভিড় দেখা গেলেও শনিবার সেগুলো প্রায় শূন্য। রাজধানীর সদরঘাট এলাকায়র কিউ.জি. সামদানী এন্ড কোং পেট্রোল পাম্পের একজন কর্মচারী পারভেজ হোসেন বলেন, “গতকালকে গাড়ির অনেক চাপ থাকলেও আজকে তেমনটা নেই। আজ যাদের একবারে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে তারাই শুধু তেল নিচ্ছে। ”

রাইড শেয়ারিং চালক মুহতাছিম বিল্লাহ বলেন, “মানুষের ভিতরে তো আসলে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বুচ্ছেন। এটা আসলে বুঝানোর মতো ক্ষমতা কারো নাই। আমি বুঝিনা আমি বা তারা(যাত্রীরা) কিভাবে কার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করব। তেলের দাম বাড়লেও কিন্তু বাড়াবাড়িনি,যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়া চাইলে তারা উল্টা বলে আমরা কোত্থেকে দিব আমাদের তো ইনকাম বাড়েনি। সত্যি বলতে আমাদের বুক মটিতে লেগে গেছে।

ঢাকা ন্যাশনাল হসপিটাল এর অ্যাম্বুলেন্স চালক মোঃ বাপ্পী বলেন, “তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের ভাড়া বাড়াতে হয়েছে কিন্তু রোগীর পরিবারকে বোঝানো কষ্টকর তারা বলে আগে আসতাম ৫০০ টাকা দিয়ে এখন ৮০০-১০০০ টাকা কেন দিব। এই নিয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে আমাদের অফিসারদের প্রায় বাকবিতণ্ডা হয়।”

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর