ফরিদপুরে আ’লীগ নেতাকে মারধর করলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান!

আপডেট: August 25, 2022 |

তারেকুজ্জামান, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ শোক দিবসের দাওয়াত না পেয়ে আওয়ামী নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টারের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, শোক দিবসে দাওয়াত না পেয়ে ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামকে মারধর করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার। পরে এঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।

এদিকে, হামলার শিকার হওয়া চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম জানান, শোক দিবসের আয়োজন সম্পন্ন করতে বেলা ১১টার দিকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার মঞ্চ তৈরিতে বাঁধা দেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলামকে কিল-ঘুসি দেন। তিনি (সভাপতি) দাবী করেন, অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতি না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করেছেন।

অপরদিকে, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ভোলা মাস্টার মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, স্কুলের সভাপতি হিসেবে নিরাপত্তাজনিত কারণে স্কুলের সামনের মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু স্কুলের বাউন্ডারির ভিতরে মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করলে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়। বারবার বলা সত্ত্বেও নিষেধ না শোনায় ঘটে যাওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

তবে, অনুষ্ঠানে তাকে সভাপতি না করায় মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

এদিকে, এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ জলিল জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে।

ওসি জানায়, তবে এব্যাপারে এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর