এমান্সিপেশন প্রিমিয়ারে সপরিবারে ক্যামেরাবন্দি উইল স্মিথ

২০২২ সালে অস্কারের মঞ্চে চড়কাণ্ডের পর প্রথমবারের মতো রেড কার্পেটে উপস্থিত হয়েছেন হলিউড তারকা উইল স্মিথ। তাঁর আসন্ন চলচ্চিত্র ‘এমান্সিপেশন’-এর মুক্তি উপলক্ষে লস অ্যাঞ্জেলেসে আয়োজিত প্রিমিয়ারে সপরিবারে উপস্থিত হন তিনি।
ওয়েস্টউডের রিজেন্সি ভিলেজ থিয়েটারে স্ত্রী জাডা পিঙ্কেট স্মিথ এবং সন্তান ট্রে, উইলো এবং জাডেনকে নিয়ে লাল গালিচায় এসেছিলেন উইল স্মিথ। উইল একটি বারগান্ডি ডলস এবং গাব্বানা টাক্সেডোর সাথে ভেতরে একটি হালকা গোলাপী শার্ট পরেছিলেন।
তাঁর স্ত্রী জাডা ম্যাচিং জুয়েলারি সহ একটি বড় আকারের সাদা টার্টলনেক পোশাক পরেছিলেন। কন্যা উইলোকে রূপালী অলঙ্কার সহ একটি কালো পোশাকে এবং পুত্র জ্যাডেন কালো-সাদা প্রিন্টের একটি টাক্সেডো পরিহিত দেখা গেছে।
উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা রেড কার্পেটে একা পোজও দিয়েছেন। ক্যামেরার সামনে স্ত্রীর মাথায় চুমু দিয়ে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করেন স্মিথ।
এর আগে জুনে প্রকাশিত ‘রেড টেবিল টক’ এর একটি পর্বে অস্কারের ঘটনাটি উল্লেখ করে জাডা বলেছিলেন, ‘তিনি আশা করছেন যে তাঁর স্বামী এবং রক পুরনো বিষাদ ভুলে এক হতে পারবেন। কারণ তারা উভয়ই বুদ্ধিমান পুরুষ। ’
জাডা দীর্ঘদিন ধরেই অ্যালোপেসিয়া রোগে ভুগছেন। এটি এমন একটি রোগ যা মানুষের চুল পড়ার কারণ। ২০১৮ সালে তিনি তাঁর রোগের লক্ষণগুলোর বর্ণনা দিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালক ক্রিস রক জাডার চুল নিয়ে একটি কৌতুক পরিবেশন করলে উইল স্মিথ নিজের উপরে নিয়ন্ত্রন হারান এবং মঞ্চে উঠে রককে চড় মেসে বসেন। এই ঘটনার বিরুপ প্রভাব পরে অভিনেতার জীবনে। স্মিথ একাডেমি থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁর বেশ কিছু সিনেমার কাজও আটকে রাখা হয়েছে এবং এ ঘটনার পর তিনি রক, রকের পরিবার, তাঁর অস্কার বিজয়ী সহকর্মী ও আরো অনেকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। এরপর দীর্ঘদিন তিনি আড়ালে রেখেছেন নিজেকে। অবশেষে নিজের চলচ্চিত্র ‘এমান্সিপেশন’ নিয়েই ফিরলেন স্মিথ।
একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘এমান্সিপেশন’মূলত ক্রীতদাস পিটারের (স্মিথ) গল্পে নির্মিত, যে তাঁর পরিবারের সন্ধানে পালিয়ে যায়। জীবনের শত প্রতিকূলতা, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও রক্ত শিকারিদের ছাড়িয়ে এগিয়ে যায় এবং পথে লুইসিয়ানা জলাভূমির মৃত্যুকূপ থেকেও বেঁচে যায়। পিটার অবশেষে ইউনিয়ন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। একটি মেডিক্যাল পরীক্ষার সময়, তাঁর খালি পিঠে প্রায় মারাত্মক বেত্রাঘাতের দাগ দেখা যায়, যা নিঃসন্দেহে আমেরিকায় দাসত্বের নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা প্রমাণ করেছে। ’ এমনই একটি গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘এমান্সিপেশন’।
এন. কোলাজের স্ক্রিপ্ট থেকে নির্মিত সিনেমাটির পরিচালনা ও নির্বাহী প্রযোজনা করেছেন অ্যান্টোইনে ফুকা। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন স্মিথ এবং জন মোনে। ২০২৩ সালে সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র : ইনসাইডার ডটকম