‘কলার দামে, আমজনতা ঘামে’

আপডেট: March 24, 2023 |
inbound48868504266514688
print news

মিজান মোহাম্মদ, সিলেট প্রতিনিধি : বছর ঘুরে আমাদের মাঝে হাজির হলো পবিত্র মাহে রমজান।

প্রতি বছর আনন্দময় রমজানের আগমনী বার্তার সাথে সাথে মানুষের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।

অসাধু-কালোবাজারিরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম না নাগালের বাহিরে নিয়ে যায়। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার ব্যতিক্রম হয় নি।

তবে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে কলার দাম! কলার দাম শুনে আমজনতার ঘাম বের হচ্ছে। কপালে থাকে চিন্তার ভাঁজ, এবার ৩ রোজার ব্যয়েই না সারা মাসের বাজেট শেষ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাত সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার, লামাবাজার, বন্দর, কাজীটুলা ও আম্বরখানা ঘুরে দেখা যায়- আকার ভেদে চাম্পা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৬০ টাকা, সফরি কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা।

যদিও রোজার ৪/৫ দিন আগেও এই চাম্পা কলার দাম ছিলো ১০-২০ টাকা, ও সফরি কলার দাম ছিলো ১৫-২৫ টাকা।

কলা কিনতে আসা আক্তার হোসেন তাহির নামের এক ক্রেতা আক্ষেপের সাথে জানান, ‘ইফতার শেষে বা সেহেরির সময় দুধভাতের সাথে কলা বাংলার মুসলমানদের প্রিয় খাবার। অথচ আজ কলা কিনতে এসে শরীর ঘামছে।

এবার রোজায় কলা খাওয়া ইচ্ছাটা দাফন করতে হবে। কারণ এখানেও যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে।’

রোজার আসতেই কলার দাম ডিগবাজি খেয়ে বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে রিকাবীবাজারের কাল ব্যবসায়ী মো: ফারুক মিয়া জানান, আমরা খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ী।

আড়ৎ থেকে কিনে এনে সামান্য মুনাফা ধরে ক্রেতার নিকট বিক্রয় করি। যেহেতু আমরা আড়ৎ থেকে বেশি দামে কলা কিনে এনেছি, সেহেতু বেশি দামে বিক্রয় করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

তিনি আরোও জানান, রোজার আগে এক কান্দা কলা যে দামে আমরা ক্রয় করে আনতাম এখন তেমন এক কান্দা কলা ৪০০/৪৫০ টাকা বেশি দামে ক্রয় করে আনছি।

যদিও কলার বাজার এমন অস্থিতিশীল হওয়ার কোন কারণ নেই। সব আড়ৎদারদের কারসাজি।

কলার দাম বাড়ার কারণ জানার জন্য কাজীরবাজারের কলার আড়ৎদার জামাল মিয়ার মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে জয়বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট ছড়াকার অজিত রায় ভজন বলেন- কলার চাহিদা বাঙালি হিন্দুদের পূঁজা ও মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে বেড়ে যায়।

আর এই সুযোগে অসাধু আড়ৎদাররা জিম্মি করে আমজনতার পকেট কেটে তাদের আরাম আয়াশের পথ সুগম করছে। যা সত্যিই আমাদের জাতির জন্য লজ্জাজনক।

রমজান মাস মানেই এবাদতের মাস। রমজান মাস মানেই সংযমের মাস। রমজান মাস মানেই রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস। পবিত্র ও মহিমান্বিত মাস।

এবাদতের বসন্ত সময়ই রামজান। রবিশষীর চক্রাতিক্রমনে ফিরে এসেছে রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস রামজান।

কিন্তু বাঙালির ইতিহাসে এ মাসেই অধিকাংশ ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষদের লুঠে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর