সিংগাইরে জনরোষে মাটিখেকোরা নূরালীগঙ্গা থেকে পিছু হটলেও অন্য জায়গায় বেপরোয়া, প্রশাসন নিরব


সোহরাব হোসেন,সিংগাইর প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের নলগোড়া এলাকায় নূরালীগঙ্গা খাল থেকে রাতের আঁধারে মাটি কাটতে গিয়ে জনরোষে পিছু হটলেন মাটিখেকোরা।
এ স্পট থেকে পিছু হটলেও উপজেলার বিভিন্নস্থানে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। এসব বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কালীগঙ্গা নদীর শাখা নূরালীগঙ্গা খাল থেকে বলধারার আরিফুর রহমান জিন্নাহ ও নূরে আলম মেম্বারের নেতৃত্বে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে।
খবর পেয়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে মাটিখেকোদের ধাওয়া করেন। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত মো. আরিফুর রহমান জিন্নাহ বলেন, কবরস্থানের জন্য কিছু মাটি কাটা হয়েছিল। এলাকাবাসির আপত্তিতে বন্ধ করা হয়েছে।
প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই মাটি কাটা হবে। এর আগেও একইস্থানে মাটি কেটে বিক্রি করতে গেলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে তা বন্ধ হয়। স্থানীয়রা বলছেন, তারা জানার আগেই ব্যবসায়ীরা এ খাল থেকে মাটি কেটে ৮-১০ ট্রলি কবরস্থানে বিক্রি করেন।
এর আগে এ চক্রের জিন্নাহ খোলাপাড়া চকের একটি জলাশয় থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে টানা ১১ দিন বালু উত্তোলন করে বিক্রির জন্য স্টক করে।
সরেজমিন মঙ্গলবার(১১ এপ্রিল) বলধারা ও চারিগ্রাম ইউনিয়নের মধ্যবর্তী গুনাইর বিল চকে জনৈক করিম বেপারীর জমি থেকে টানা ১৫ দিন যাবত মাটি কেটে বিক্রি করছেন ওই এলাকার ইস্রাফিল ও ফরশেদ গং।
স্থানীয়রা জানান, এরা চিহ্নিত মাটি ব্যবসায়ী। চলতি মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের লোভের ফাঁদে ফেলে ফসলি জমি থেকে মাটি ক্রয় করে অন্যত্র বিক্রি করছেন। তাদের কবলে পড়ে অনেক কৃষকের জমি পুকুর ও জলাশয়ে পরিনত হচ্ছে।
এদিকে, তালেবপুর ইউনিয়নের কাংশা এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে দিনভর চলছে মাটি লুটের কর্মযজ্ঞ। ইতিপূর্বে এ মাটি কাটা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এলাকার প্রভাবশালী সফিকুল ও সিরাজের নেতৃত্বে গত ৩-৪ দিন ধরে পুনরায় মাটি কাটা শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
কাংশা গ্রামের রাজিব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দিনরাত অবাধে চলছে মাটি বহনের ট্রলিগুলো। এসব ট্রলির বিকট শব্দে রাস্তার আশ-পাশের বসত বাড়িগুলোতে বসবাস করা দায় হয়ে পড়ছে ।সেই সাথে রাস্তা-ঘাটও হচ্ছে নষ্ট।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, ধলেশ্বরী নদীর কাংশা এলাকায় ও চারিগ্রামের গুনাইর বিলে মাটি কাটার কথা আমার জানা নেই। এখনি এসিল্যান্ডকে পাঠাচ্ছি।