আং‌শিক চালু হ‌লেও মাদারীপুর হাসপাতালে মিলছে না কাঙ্খিত সেবা

আপডেট: May 6, 2023 |
inbound392551667357151902
print news

মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি আং‌শিক চালু হ‌লেও কাঙ্খিত সেবা না মেলার অভিযোগ উঠেছে।

কর্তৃপক্ষ বল‌ছে, লোকবলের অভাবে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা যাচ্ছে না ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি।

স‌রেজ‌মি‌নে গি‌য়ে জানা যায়, হস্তান্তরের সাড়ে তিন বছর পর চালু করা হয় মাদারীপুর জেলা সদরের আড়াইশো’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আংশিক কার্যক্রম।

কিন্তু ২৬৭টি পদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ ১০২টি পদ খালি থাকায় কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।

ফলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, বরিশাল ও ফরিদপুর মেডিক্যালে কলেজে প্রেরণ করায় খরচের সঙ্গে বেড়েছে ভোগান্তি।

এতে ক্ষুব্ধ রোগী, স্বজন ও এলাকাবাসী। তবে সিভিল সার্জনের দাবি, আড়াইশ’ শয্যার নয়, এখনো ৩২টি পদ খালি আছে পূর্বের একশ’ শয্যার হাসপাতালে। তাই আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা যাচ্ছে না।

সং‌শ্লিষ্ট‌ সূ‌ত্রে আরো জানা যায়, উচ্চ আদালতের প্রাপ্ত চিঠির পর তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করা হয় মাদারীপুর আড়াইশ’ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আংশিক কার্যক্রম।

গত ২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খান এর উদ্বোধন করলেও এখনো চালু হয়নি এর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম।

একশ’ শয্যা থেকে আড়াইশ’ শয্যার সাততলা ভবনটি শকুনী মৌজায় নির্মানের পর ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

তিনকোটি টাকা মূল্যের সিটি স্ক্যান মেশিন, ডিজিটাল এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটরসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুরের রাজীব মাতুব্বর তার মা হালানী বেগমকে ভর্তি করেন জেলার হাসপাতালে।

তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘অসুস্থ আম্মুকে হাসপাতালে রাতে নিয়ে আসছি। সকাল হয়ে দুপুর, এখনো ডাক্তার পাই নাই, জরুরী বিভাগে কোনরকম একটু চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে দিয়েছে, নার্স আসে-যায়, কিন্তু কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।

নিরাপদ চিকিৎসা চাই মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, দ্রুত এই হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ চালু করা হলে, উন্নত সেবা পাবেন জেলাবাসী।

এব‌্যাপা‌রে মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, ‘বর্তমানে একশ’ শয্যারই জনবল ঘাটতি রয়েছে।

আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালের জনবল নিয়োগের আবেদন চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে ২৫০ শয্যার নতুন এই হাসপাতালটি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর