সিসিক নির্বাচনে ভোট দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: June 21, 2023 |
inbound8820211346082361919
print news

মেশিনেই এখন সব কাজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বিএনপির আমলে প্রচুর ভুয়া ভোট পড়তো। আমরা ইভিএম পদ্ধতি এনে ভুয়া ভোট বন্ধ করে দিয়েছি।

আজ বুধবার (২১ জুন) সকাল ১০টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বন্দর বাজার এলাকার দূর্গাকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি খুবই আনন্দিত। আজকের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। বৃষ্টি হলে ভোট কেন্দ্রে আসতে সমস্যা হতো। এখনও বৃষ্টি শুরু হয়নি। এ ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে। তবে কেন্দ্রে পুরুষদের চেয়ে নারীদের সংখ্যা বেশি।

ইভিএমে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমি আগে আমেরিকায় ইভিএমে ভোট দিয়েছি। তবে বাংলাদেশে এই প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। এতে খুব ভালো লাগছে।’

ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটের লোকজন একটু দেরিতে উঠেন। তারাও আসবেন। দুপুর ১টার পর দেখবেন অনেক মানুষ ভোট দিতে আসছেন।

কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। যারা হারবেন বা জিতবেন প্রত্যেকের জন্যই শুভ কামনা। আমরা আশা করি, আওয়ামী লীগ জিতবে, আমাদের জয় হবে।

এবার সিলেটে ভোটে নেমেছেন মোট ৩৬৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে লড়ছেন ৮ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)। তবে নির্বাচন বর্জন করেছেন হাত পাখার মাহমুদুল হাসান।

নগরীর ৫৬ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ৩৬০ জন। তবে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার অভিযোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন, তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ৬ জন ভোটার। ১৯০ কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭ ভোটকক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে ১৯০ কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৫৮ কেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান জানান, সোমবার রাত ১২টার থেকে ৪২ ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ৪২ টিম, পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ১০টিম রয়েছে। প্রতিটি টিমের সঙ্গে রয়েছে ১ প্লাটুন বিজিবি।

রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৫৫টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরেও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মোট এক হাজার ৫৬০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।

এসব ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে ইসি ভোট পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে। কোথাও কোনো প্রকার অনিয়ম বা অব্যবস্থাপনা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনো কেন্দ্রে কেউ গোলযোগ সৃষ্টি বা সহিংসতার চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর