বাংলাদেশে শাখা খুলবে রাশিয়ার ব্যাংক

আপডেট: July 21, 2023 |
inbound2874576713542309560
print news

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য এশিয়া অঞ্চলে মনোনিবেশ করেছে রাশিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করা ক্লায়েন্টদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানের সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে রাশিয়ার বৃহত্তম ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এসবারব্যাংক (Sberbank)।

বৃহস্পতিবার চ্যানেল নিউজ এশিয়া ও রয়টার্সসহ একাধিক বিদেশি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে শাখা খোলার বিষয়ে এসবারব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে দুই বার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে।

এসবারব্যাংকের নির্বাহী বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান আনাতোলি পপভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাশিয়ান এই ব্যাংকটি ভারতের বেঙ্গালুরুতেও একটি আইটি অফিস স্থাপন করার অনুমতি পেয়েছে। এ ছাড়া ভারতে এই ব্যাংকটির একটি শাখা ২০১০ সাল থেকে চালু আছে। দেশটিতে চালু করা নতুন হাবটি আইটি উন্নয়নে মনোযোগ দেবে। পাশাপাশি সেখানে ২০০ জন বিশেষজ্ঞকেও নিয়োগ দেয়া হবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে পাশ কাটানোর জন্য গত মাসে অস্ট্রিয়ান সাবসিডিয়ারি বিক্রির মাধ্যমে এসবারব্যাংক ইউরোপের বাজার থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে এসেছে।

এ অবস্থায় অসংখ্য রুশ কোম্পানির মতো এসবারব্যাংকও এশিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং নতুন ব্যবসায়িক অংশীদার খুঁজছে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ডলারের বাণিজ্যের বিকল্প উপায় খুঁজছে। এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে শাখা খোলার বিষয়টি এসবারব্যাংক যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

এর আগে ২০১৮ সালে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহায়তা বাড়াতে গঠিত বাংলাদেশ-রাশিয়া আন্তঃসরকার কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশে রাশিয়ার একটি ব্যাংক চালুর বিষয়ে আলোচনাও হয়েছিল। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে কমিশনের প্রথম বৈঠকে রাশিয়া সেই ব্যাংকের সম্ভাব্য নাম হিসেবে ‘স্পুটনিক ব্যাংক’ প্রস্তাব করলেও তা নিয়ে অগ্রগতির খবর পরে আর আসেনি।

দেশে ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ১০ লাখ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। প্রাথমিক অনুমোদন হিসেবে ‘লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)’ পাওয়ার পর ৫০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনসহ অন্যান্য শর্ত পরিপালন করলে ব্যাংকের লাইসেন্স দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিদেশি কোনো ব্যাংক বাংলাদেশে শাখা খুলতে চাইলে প্রথমবার একইরকম পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এজন্য কোম্পানি গঠন করে ৫০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের শর্তও মানতে হয়।

অপরদিকে বিদেশি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বাংলাদেশে ব্যাংকের ব্যবসা করতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অুনমোদন নিতে হয়।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ আনতে ও তাদের জনবলের কর্ম অনুমোদন (ওয়ার্ক পারমিট) দেয়ার সরকারি সংস্থা বিডা। তাই বিদেশি ব্যাংকের জনবল ও ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনায় এ অনুমোদনের প্রয়োজন।

বর্তমানে দেশে ৯টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সিটিব্যাংক এনএ, যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্টান্ডার্ড চাটার্ড বাংলাদেশ ও এইচএসবিসি, ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কার কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, পাকিস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ব্যাংক আল-ফালাহ ও হাবিব ব্যাংক এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উরি ব্যাংক।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর