ফরিদপুরে পপসস এর অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত


তারেকুজ্জামান, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির নানা অনিয়ম, দুর্নীতিসহ চাকুরী ফেরত চেয়ে এ সংস্থার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ বেলা ১২:০০ টায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির সাবেক ম্যানেজার জোবায়ের স্বপন, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১৯৮২ সাল থেকে এ সংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ সংস্থাটির কতিপয় কর্মকর্তা দুর্নীতি আর অনিয়য়ের মাধ্যমে সংস্থাটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পেয়ে অলিয়ার রহমান খান এটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করেন। এছাড়া নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে থাকেন।
নির্বাচিত কমিটি বাতিল করে আত্বীয়-স্বজনদের নিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি করে তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন।
নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে গঠনতন্ত্র না মেনে সাধারণ পরিষদের বেশ কিছু সদস্যকে বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো লোকজনদের নিয়ে সাধারণ পরিষদ ও নতুন কমিটি গঠন করেন।
নামে মাত্র এজিএম এর নাটক সাজিয়ে কোন নির্বাচন ছাড়া ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করেন।
পরবর্তীতে এ কমিটি বাতিল করা হয় এবং নির্বাহী পরিচালকের পদ থেকে অলিয়ার রহমানকে বাদ দিয়ে তার লোকজনকে নিয়ে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে তাদের নানা অজুহাতে চাকুরীচ্যুত করা হয়।
বর্তমানে যাকে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই কুদ্দুস মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।
এছাড়া পরিচারক মোঃ আকরাম খানসহ কতিপয় কর্মকর্তা সংস্থাটিকে দুর্নীতির আখড়া হিসাবে রুপান্তরিত করেছে।
বর্তমান কমিটির নানা অবৈধ কর্মকান্ডের কারনে অর্থায়নকারী এ প্রতিষ্ঠানটি মানুষের মাঝে নেতিবাচক হিসাবে প্রচার পাচ্ছে।
সংস্থার শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লক্ষাধিক গ্রুপ সদস্যদের রুটি রুজি হুমকির মুখে পড়েছে।
বর্তমানে যারা সংস্থা পরিচালনা করছে তারা তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদকারীদের দমন করতে মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানী করছে।
বর্তমানে পরিচালনা পর্যদে যারা রয়েছেন তাদের আত্বীয়-স্বজনেরা জাল সনদ দিয়ে বড় বড় পদে চাকুরী করছেন।
সাবেক নির্বাহী পরিচালক অলিয়ার রহমান খান এর বিরুদ্ধে ৫ জনের গ্র্যাচুয়েটির ৩১ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকা আত্মাসাৎ এর মামলা রয়েছে।
যাদের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে তারা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বেশ কিছু দাবী তুলে ধরে এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
দাবী গুলো হলো, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গঠিত বর্তমান কার্য নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত/বাতিল করে সুধিমহলকে নিয়ে কমিটি গঠন, আত্মপক্ষের সুযোগ না দিয়ে বাতিলকৃত সকল সাধারণ পরিষদের সদস্যদের বাতিল চিঠি প্রত্যাহার, বিগত ১২ বছরের দুর্নীতি ও অনিয়ম এর নিরপেক্ষ সরকারী তদন্ত কমিটি গঠন, নিয়ম বর্হিভূত নির্বাহী পরিচালক কুদ্দুস মোল্যা ও তার ছেলে বাপ্পীর অবৈধ নিয়োগ বাতিল, মানবতা হরনকারী পরিচালক আকরাম হোসেনের অপসারন, সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দেয়া, অন্যায় ভাবে চাকুরীচ্যুত ও পদত্যাগে বাধ্যকারীদের চাকুরীতে পুনঃবহাল ও সদস্যদের জমাকৃত সঞ্চয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা সুরক্ষা নিশ্চিত করা।