বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট: November 15, 2023 |
Boishakhinews24.net 9
print news

বাংলাদেশের নির্বাচন সহিংসতামুক্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন অবরোধে সহিংসতার মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বারবার রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র কি বিএনপি-জামায়াতের এই ধরনের সহিংসতা অবসানের নিশ্চয়তা দিতে পারে? বাংলাদেশে একই গোষ্ঠীর এ ধরনের সহিংসতার অতীত রেকর্ড আছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা ক্রমাগত বলে আসছি যে, বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উন্মুক্ত ভাবে হওয়া উচিত বলে আমরা বিশ্বাস করি। একসঙ্গে নির্বাচন সহিংসতামুক্ত ভাবেও হওয়া উচিত।

পৃথক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক সম্প্রতি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, নয়াদিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার (টু প্লাস টু) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বিনয় কোয়াত্রা ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য স্থিতিশীল বাংলাদেশের কথা জানিয়েছেন। তিনি (বাংলাদেশে) তৃতীয় দেশের হস্তক্ষেপে ক্রমবর্ধমান চরমপন্থা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন। এতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিই কী বিপদ হতে পারে? বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের এ ধরনের অবস্থান থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র কি ভিন্ন অবস্থান নেবেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই।

এদিকে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (এইচআরসি)। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এইচআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ন্যায্য মজুরি দাবি করা শ্রমিক এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানানো রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চলছে। এ ছাড়া সাংবাদিক, মানবাধিকার রক্ষাকারী ও সুশীল সমাজের নেতাদের বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনকারী আইন সংস্কারে ব্যর্থতা গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর