ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেনকে শোকজ


তারেকুজ্জামান, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়াকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে।
ফরিদপুর-২ আসনের জন্য গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) কাঞ্চন কুমার কুন্ডু গত শুক্রবার এ শোকজ নোটিশ জারি করেন।
ওই নোটিশ অনুযায়ী আগামী সোমবার বেলা ১১টায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর অধীন আইনের বিধান লঙ্ঘন করায় এ কারণ দর্শানো হয়।
জামাল হোসেন মিয়া নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
গত ৩০ নভেম্বর তিনি যানবাহনের বিশাল শোভাযাত্রাসহ সালথা উপজেলা পরিষদে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ওই শোকজ নোটিশে বলা হয়, আপনি মো. জামাল হোসেন মিয়া, নির্বাচনী এলাকা-২১২ ফরিদপুর-২ আসনের একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
আপনি গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সালথা উপজেলা কার্যালয়ের রিটানিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে যান।
ওই সময় আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে কয়েক শতাধিক লোকের একটি মিছিল নিয়ে সেখানে যান।
এ সময় নেতা–কর্মীরা এবং সমর্থকেরা আপনার নামে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
উপজেলা কার্যালয়ের রিটানিং অফিসের প্রধান ফটকে এসেও আপনার সমর্থকেরা হাত তালি ও বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে এবং মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর আপনি আপনার সমর্থনে ভোট প্রার্থনা করেন।
আপনার কর্মী সমর্থকদের এমন ভিড় দেখে সাধারণ জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়। যা বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
উক্ত কার্যের মাধ্যমে এই পর্যায়ে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৮(খ) ও ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতিয়মান হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন এত লোক হবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি স্বতস্ফূর্ত মানুষের আবেগ রোধ করতে পারিনি।
জামাল হোসেন বলেন, আদালতের নোটিশ পাওয়ার পর আমি নির্দেশনা অনুযায়ী আদালতে গিয়ে আমার বক্তব্য প্রদান করব।
উল্লেখ্য, এর আগে একই অভিযোগে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে শোকজ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আদালতের নির্দেশ মেনে গত শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে নিক্সন চৌধুরী তাঁর লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন।