রিফাত হত্যায় দুই জনের স্বীকারোক্তি, তিনজন রিমান্ডে

আপডেট: July 1, 2019 |

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মামলার ১১ নম্বর আসামি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা অপর এক অভিযুক্ত আসামি তানভীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে স্বেচ্ছায় তারা এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনদিন রিমান্ড শেষে নাজমুল হাসানকে একই আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তার পাঁচ দিনের রিম্যান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে সাগর ও কামরুল হাসান সাইমুন নামের অপর দুজনকে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হুমায়ূন কবির বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি অলি এবং হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা তানভীর আদালতে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা সাগর, সাইমুন ও নাজমুল আহসানকে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে নাজমুল আহসান আগেও তিনদিনের রিমান্ডে ছিলেন। তিনদিনের রিমান্ড শেষে আজ আবারো তার ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় গ্রেপ্তার হলেও তিনি বরগুনা জেলা পুলিশের কাছে পৌঁছায়নি। তাই তাকে আদালতে তোলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বেলা তিনটার দিকে রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। এ সময় তিনি বলেন আরো এক আসামিকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা যাবে না।

এ হত্যাকাণ্ডে এপর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি চন্দন ওরফে জয় চন্দ্র সরকার এবং ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান। এ ছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত সন্দেহজনক আসামি মো. নাজমুল হাসান, তানভির, মো. সাগর এবং কামরুল হাসান সাইমুন, ১১ নম্বর আসামি অলি এবং টিকটক হৃদয়সহ আরো একজন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নয়নবন্ড, রিফাত, রিশানসহ অন্যরা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর