ব্রাদার্স ইউনিয়নকে পরাজিত করে কষ্টের বিজয় পেল মোহামেডান

আপডেট: April 19, 2024 |
boishakhinews 15
print news

নাসুম আহমেদের ঘূর্ণি জাদুতে প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড অলআউট মাত্র ১৩৫ রানে! তাড়া করতে নেমে ইমরুল কায়েসের ঝড়ে ১০ ওভার আগেই দলের রান বিনা উইকেটে পার হয় ষাটের ঘর। বড় জয় যখন উঁকি দিচ্ছে তখন ছন্দপতন সাদাকালো শিবিরে, নাই হয়ে যায় ৫ উইকেট!

ইমরুল এক প্রান্তে আগলে ধরে মোহামেডানকে এনে দিয়েছেন কষ্টের জয়। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দেয় ব্রাদার্স। তাড়া করতে নেমে ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহামেডান।

১১ রাউন্ড শেষে ৮ জয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে মোহামেডান। অন্যদিকে সমান রাউন্ডে ব্রাদার্সের এটি অষ্টম হার। প্রত্যেক ম্যাচে জিতে শীর্ষে আছে আবাহনী লিমিটেড। মোহামেডানের সমান জয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের।

ইমরুল মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। ৭১ বলে ১২ চার ও ৩ ছয়ের মারে অপরাজিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ইমরুলের সঙ্গে ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

ওপেনিংয়ে ৬৬ রান আসলেও তাতে রনি তালুকদারের অবদান মাত্র ১০। তার আউটের পর ধস নামে মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে। একে একে ফেরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১) রুবেল মিয়া (১৪) মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৭) ও আরিফুল হক (১)। চ্যালেঞ্জিং স্কোর হলে মোহামেডানের বিপদ হতে পারতো। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নূর।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধস নামে ব্রাদার্সের ইনিংসে। ৬ রানে নেই হয়ে যায় ৩ উইকেট। মাহমুদুল হাসান-জাকিরুল আহমেদ জেম ধাক্কা সামাল দিলেও লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৫ রানে জেম ফিরলে ভাঙে ৪৮ রানের জুটি।

মাহমুদুলের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। শেষ দিকে সমান ৪৫ রান করেন রাহাতুল ফেরদাউস। দুজনের ব্যাটে ভর করে কোনোমতে দেড়শর কাছাকাছি রান করে দলটি। দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। রানের খাতা খুলতে পারেননি ৩ জন।

মোহামেডানের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন নাসুম। ১০ ওভারে মাত্র ২২ রানে এই উইকেটগুলো নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। লিস্ট-এ’তে নাসুমের এটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে ৫ উইকেট নিয়েছেন, তবে রান দিয়েছেন ৪৯টি। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন মিরাজ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর