সালমান খানের বাসভবনের বাইরে গুলি করে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীর আত্মহত্যা
মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অভিনেতা সালমান খানের বাসভবনের বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এক অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। বুধবার এই ঘটনা ঘটে। তবে সেই অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালানো হয়।
মুম্বাই পুলিশ এই বিষয়ে ক্রমাগত তদন্ত চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই মামলার অন্যতম এক এক আসামি হাজতেই আত্মহত্যা করেছেন।
ওই ব্যক্তির নাম অনুজ থাপন।
এদিকে, অনুজের ভাই দাবি করেছেন যে অনুজকে মুম্বাই পুলিশ হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন যে তাঁর ময়নাতদন্ত মুম্বাইয়ের বাইরে করা উচিত।
মৃত অভিযুক্তের ভাই অভিষেক থাপন বলেন, ‘অনুজ এমন ব্যক্তি নয় যে আত্মহত্যা করবে।
৬-৭ দিন আগে অনুজকে মুম্বাই পুলিশ সাঙ্গুর থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। আজ, আমরা একটি ফোন পেয়েছি যে অনুজ আত্মহত্যা করেছে। তিনি এমন মানুষ নন যে আত্মহত্যা করবেন। তিনি পুলিশের হাতে খুন হয়েছেন তিনি। আমরা বিচার চাই।
তিনি একটি ট্রাক হেলপার হিসাবে কাজ করছিলেন।
অভিষেক থাপনকে সংবাদ সংস্থা এএনআই’কে এই বক্তব্য দেন।
সুপারস্টার সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালানোর ঘটনার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। গুলি চালানোর ঘটনার পর সালমানের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এরই মধ্যে অনুজের আত্মহত্যা নতুন মোড় নিল এই মামলায়।
গুলি চালানোর মামলায় গ্রেপ্তার হন অনুজ থাপন। তিনি গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, ক্রাইম ব্রাঞ্চের হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যা করেন। রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে বলে সূত্রের খবর, তাকে সেন্ট জর্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অনুজের বিরুদ্ধে ১৪ এপ্রিল সালমান খানের বাড়িতে যে অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল সেই অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তের পর অনুজকে পাঞ্জাব থেকে আটক করে।
১৪ এপ্রিল রবিবার ভোর ৫টার দিকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে একের পর এক ৪-৫টি গুলি চালানো হয়। এ খবর প্রকাশ্যে আসার সালমান খানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ঘটনার পর অভিনেতার নিরাপত্তা আগের চেয়ে আরও কড়া করা হয়েছে।