কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কেন্দুয়ায় ১২ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত

আপডেট: June 6, 2024 |
inbound4974449744189445268
print news

মো: হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রতিবছরের মত এবারো কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ১২ হাজারের অধিক গরু, ছাগল, ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যা পর্যায় ক্রমে বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটে নেওয়া হবে।

আবার অনেক খামারী তারা খামারে রেখেই গবাদিপশু বিক্রি করার জন্য সোলাল মিডিয়া এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনলাইন হাটে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। তার মধ্যে অনলাইন কোরবানির পশুর হাট, কেন্দুয়া নেত্রকোনা এবং কোরবানি হাট, নেত্রকোনা উল্লেখযোগ্য।

স্থানীয় প্রবাস ফেরত শামীম বেগ নামে একজন খামারী জানান, প্রতিবছরের মত এইবার ঈদেও তার খামারে ৩০টি গবাদিপশু ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। তবে গোখাদ্য দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্যযেকোন বছরের তুলনায় লাভের পরিমান কম হবে।

এছাড়াও তালুকদার ফ্যাটেনিং ফার্মে ৪০ গরু এবং জাহানারা এগ্রো তে প্রায় ৫০টি গরু লালন পালন করা হয়েছে।

খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে নিজ বাড়িতে অনেকে একটি দুটি করে গবাদিপশু পালন করে থাকে তাদের পশুগুলো নিজেদের কোরবানি চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকেন, এমনি একজন জহিরুল ইসলাম নামে একজন জানান, প্রতিবছর তিনি দুটি গরু লালন পালন করে থাকেন তার একটি গরু কোরবানি দিয়ে থাকেন অন্য একটি গরু বিক্রি করে থাকেন।

কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভাস্কর চন্দ্র তালুকদার জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে
১২ হাজারের অধিক বিভিন্ন জাতের গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে, তার মধ্যে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামের বুলবুল মিয়ার সাদাপাহাড় নামে সবচেয়ে বড় ষাড় গরু যার ওজন প্রায় ৩৫ মন।

এছাড়াও খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে পালন করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের গবাদিপশু।

তিনি আরো বলেন, উপজেলার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবে। আবার অনেক জেলার পশুও এ উপজেলায় আসবে।

তবে কেন্দুয়া উপজেলায় কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না বরং চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর