পশ্চিম বাংলার নন্দিত কবি ও বাচিক শিল্পী ভবতোষ দাস এর সংবর্ধনা ও কবিতা পাঠের আসর

আপডেট: June 8, 2024 |
inbound4361474901732584173
print news

আসাদুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: পশ্চিম বাংলার নন্দিত কবি ও বাচিক শিল্পী ভবতোষ দাস এর সংবর্ধনা ও কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতন।

বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ কুষ্টিয়ার সভাপতি ড. আমানুর আমান এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজয় মৈত্র।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পশ্চিম বাংলার নন্দিত কবি ও বাচিক শিল্পী ভবতোষ দাস এবং তার সহধর্মিণী অপর্না দাস।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি হাসিম কিয়াম, কবি মনিরুজ্জামান সিদ্দিকী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতন বলেন, কবিরা স্বপ্ন দেখায় বিপ্লবের।

কারন কবিরা বিপ্লব করতে না পারলেও স্বপ্ন দেখিয়ে বিপ্লব ঘটানোর উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারে। তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির শেকড়টা যদি গভীরে না থাকে তাহলে তো সংস্কৃতি জগতে আসা সম্ভব নয়। আজকের এই ভবতোষ দাস বাচিক শিল্পী হয়েছে কবির কারনে।

তিনি লেখেন বলেই আবৃত্তি করতে পারেন এবং বাচিক শিল্পী।

কবিতা দিয়ে একটি পৃথিবীর আপন মানুষ হতে পারে যার প্রমান আজকের এই আয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের আয়োজনের মধ্যমনি দুই দেশের মানুষ হলেও ভিন্ন।

কিন্তু কবিতা দিয়েই তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলেই কুষ্টিয়ার কবি মনিরুজ্জামান কে সহোদর বলছেন ওপার বাংলার এই বাচিক শিল্পী।

সংবর্ধিত হয়ে পশ্চিম বাংলার নন্দিত কবি ও বাচিক শিল্পী ভবতোষ দাস বলেন, আমি অনেক সম্মাননা পেয়েছি। কিন্ত অনেক সম্মাননার মধ্যে আজকের সম্মাননা আমাকে বিমোহিত করে তুলেছে।

তিনি বলেন, যারা সম্মাননা দেন তাঁরাই সম্মানিত হন। আজকের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং আমার এই সম্মামনা আজকের উপস্থিত সকলের মাঝে অর্পন করলাম।

তিনি আরও বলেন, কবিতা যে মানুষকে এইভাবে মেলবন্ধন যোগায় আমি সেটা পরতে পরতে বুঝতে পারলাম। আজ থেকে চার বছর আগে বেশ কিছু কবিতা ও সৃজনশীল মানুষের লেখা কবিতাগুলোর মধ্য দিয়ে আমার বিশালতা বেড়েছে।

কবিদের লেখা ও সৃজনশীলতা বিস্তৃত উল্লেখ করে
তিনি বলেন, আমি কবি বাছি না কবিতা বাছি।
আমি আপনাদের ভালোবাসায় আবদ্ধ।

এই বাংলায় অনেকের কবিতা আবৃত্তি করেছি। তবে কুষ্টিয়ার বেশ কিছু কবির কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে উঠি। কুষ্টিয়ার কবি সাহিত্যিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেন তিনি।

বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ কুষ্টিয়া আয়োজিত অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন লেখক ও গবেষক ইমাম মেহেদী। এরআগে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি কনক চৌধুরী।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর