বগুড়ায় পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি নওগাঁয় গ্রেপ্তার


শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়াসহ পালানো ছিনতাই মামলার আসামী শাহাদাত হোসেন ওরফে কমল (৩০) কে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলাধীন মহাদবপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) দিবাগত রাত সোয়া ১০ টার দিকে ছিনতাই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী শাহাদাত হোসেন ওরফে কমল পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়াসহ পালানো পর, তাকে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলাধীন মহাদেবপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে আদমদীঘি থানা পুলিশ।
এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতার পিটুনিতে আহত শাহাদাত হোসেন ওরফে কমল নামের ছিনতাই মামলার এই আসামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়েছিলেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোস্তাফিজুর রহমান বলেল,হাতকড়াসহ হাসপাতাল থেকে পালানো শাহাদত হোসেন নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর গ্রামে শ্যালিকার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয় এবং হাতকড়াও উদ্ধার হয়েছে। তাকে আক্কেলপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাটের তিলকপুর বাজারের এক ফ্লাক্সিলোড ব্যবসায়ীর টাকাসহ ব্যাগ ছিনতাই করে মোটরসাইকেল যোগে পালাচ্ছিলেন দুজন।
এসময় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার আমইন গ্রামে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে শাহাদাত হোসেন এবং তার সহযোগী রাজু পালোয়ানকে আটক করে পিটুনি দেয় জনতা।
তাদের আর এক সহযোগী বাঁধন(২৬)কেও জনতা আটক করে। একপর্যায়ে তিনজনকে পিটুনিট পর রাজু’র পায়ের রগ কর্তনেরও চেষ্টা করা হয়।
পরে পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।আহত রাজু পালোয়ান,শাহাদাত হোসেন ও বাঁধন আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা।
তাঁদের মধ্যে শাহাদত ও রাজুকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বাঁধনকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানায় বৃহস্পতিবার মামলা হয়।
এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে বগুড়া পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ও কনস্টেবল জাকিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(মিডিয়া ও ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার।
তিনি বলেন, এঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ মোস্তফা মঞ্জুরকে প্রধান করে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি হঠন করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এস এম মইনুদ্দিন বলেন,পুলিশ হেফাজতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই ছিনতাইকারীর চিকিৎসা চলছিল।
পুলিশ লাইনসের একজন এসআই এবং দুজন কনস্টেবল তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় শাহাদাত নামের ছিনতাই মামলার ওই আসামী শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পালিয়েছিলেন।