বগুড়া শেরপুরে আন্তজেলা চোরচক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার


শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুর থেকে চুরি হওয়া মালামালের মধ্য থেকে ২৯টি ব্যাটারি ও ১০৫টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফরার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
জানা যায়,বগুড়ার শেরপুর থানাধীন ১০ নং শাহেববন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা এলাকার পিরপাল মার্কেটের “কিষাণ আটো” নামক ব্যাটারির দোকানে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটে।
এতে ৪১টি ইজিবাইক, আটোরিকশা,আইপিএস এবং সিএনজির ব্যাটারি চোর চক্ররা চুরি করে নিয়ে যায়। পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে দোকানের মালিক মোঃ সেলিম এসে তালা কাটা অবস্থায় দোকান দেখতে পান।
পরে বুঝতে পান যে,তার দোকানের সব মূল্যবান ব্যাটারি চুরি হয়েছে।এ বিষয়ে শেরপুর থানায় মামলা নং-১৮ তারিখ ২৩-০২-২৫ খ্রিস্টাব্দে একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান শেরপুর থানার এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও বিভিন্ন সূত্র ধরে ২৪ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার দাতপুর এলাকা থেকে প্রথমে মোঃ নুরুন্নবীউল আহসান রুমি(৪৭) কে গ্রেফতার করা হয়।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় পরবর্তীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১০মার্চ সোমবার পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার শৈল্যাবুনিয়া এলাকা থেকে মোঃ ইয়াকুব মৃধা(৪৪) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বরিশাল জেলার বিমানবন্দর থানার করাপুর এলাকা থেকে মোঃ শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের দেখানো মতে ২৯টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।যার মধ্যে ২৫টি পুরাতন ইজিবাইকের ব্যাটারি ও ৪টি নতুন সিএনজির ব্যাটারি রয়েছে।
একই অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০৫টি চোরাই গ্যাস সিলিন্ডার। এর মধ্যে ৯০টি খালি এবং ১৫টি গ্যাস ভর্তি।
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন শেরপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ আনোয়ার হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন শেরপুর থানার অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ ফোর্স।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত দুইজন আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য।
তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে ব্যাটারি,গ্যাস সিলিন্ডারসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে আসছিলো। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানার মামলা নং ১৮ জিআর নং ৪৬/২৫ ধারা ৪৫৭/৪৬১/৩৮০ পেনেল কোড-১৮৬০ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে উদ্ধারকৃত গ্যাস সিলিন্ডারের প্রকৃত মাকিক খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের সব থানায় বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।
আরো জানান,এই চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার এবং অবশিষ্ট চুরিকৃত মালামাল উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।