যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ৪৩ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা

আপডেট: March 15, 2025 |
inbound6123098505856688455
print news

বিশ্বের ৪৩টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ওপর নানা মাত্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

 

এই পরিকল্পনা নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা কর্মকর্তাদের বরাতে আজ শনিবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত বিধিনিষেধের চেয়েও ব্যাপক হতে পারে।

অবশ্য, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার অধীনে পড়তে যাচ্ছে ৪১টি দেশ। সংবাদ সংস্থাটি তাদের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ এক মেমোর বরাতে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।

এই দেশগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ভাগের দেশগুলোর ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, দ্বিতীয় ভাগের দেশগুলোর ওপর নতুন ভিসা দেওয়া বন্ধ ও তৃতীয় ধাপের দেশগুলোকে ৬০ দিনের সময় দেওয়া হবে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগ দূর করতে।

রয়টার্সের তথ্য মতে, সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা ও উত্তর কোরিয়া।

তবে, নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ দেশ ছাড়াও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ভুটান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় ভাগে বা আংশিক নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা দেশগুলো হলো—ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার ও দক্ষিণ সুদান। এই ভাগের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভ্রমণ ও শিক্ষার্থী ভিসার পাশাপাশি অন্যান্য অভিবাসী ভিসার ওপরও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে কিছু ব্যতিক্রমও থাকবে।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই ভাগে আরও থাকছে বেলারুশ, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন ও তুর্কমিনিস্থান।

তৃতীয় ভাগে রয়টার্সের তালিকায় রয়েছে ২৬টি দেশ এবং নিউইয়র্ক টাইমসের তালিকায় রয়েছে ২২টি দেশ। এসব দেশের নাগরিকদের মার্কিন ভিসা আংশিকভাবে স্থগিত করা হতে পারে। তবে দেশগুলো যদি ৬০ দিনের মধ্যে ভিসা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার ঘাটতি দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। এটি এখনো মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এর জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সম্মতিও প্রয়োজন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। কয়েকবার সংশোধন করার পর ২০১৮ সালে সেটি দেশটির সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়।

দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পরপরই তিনি কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে এক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘গাজা, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ও অন্যান্য যেকোনো দেশ, যেখান থেকে আমাদের নিরাপত্তা হুমকি আসে, সেসব দেশের জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করবো।’

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর