বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার


শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নূর আলম হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৭নং আসামী নাদিমকে বউবাজার বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত নূর আলম পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। একই এলাকার সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে ও ইট-বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র গত ৫ আগস্ট ২০২৪ রাত ৮ টায় নূর আলমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এঘটনায় নিহতের বন্ধু মিষ্টিরো গুরুত্বর আহত হন।নিহত নূর আলমের মা বাদি হয়ে শাজাহানপুর থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
নিহত নূর আলমের মা নাছিমা খাতুন বলেন,গত বছরের ৫ আগস্ট সন্ধ্যা বাসায় নাস্তা করে নূর আলম তার বন্ধু মিষ্টিরের সঙ্গে দেশমা বাজারের চারমাথা স্ট্যান্ডে যান।
সেখানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কাথাকাটির একপর্যায়ে আব্দুল বাসেদ আকন্দের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী নূর আলম ও তার বন্ধুকে মারধর শুরু করে।
জান বাঁচাতে নূর আলম নিজের মোটরসাইকেলযোগে শাজাহানপুরের দিক পালানোর চেষ্টা করেন।তবে সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া করে শাজাহানপুর এলাকায় ধরে ফেলে।
পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও এসএস পাইপ দিয়ে মাথা থেতলে দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলেই নূর আলমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্হানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্হলে গিয়ে নূর আলমকে মুমূর্ষ অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
তবে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নাজমুল হক বলেন,গ্রেফতারকৃত নাদিম শাজাহানপুর থানায় দায়ের করা নূর আলম হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামী।
তাকে শনিবার রাতে বউবজার এলাকা থেকে বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে আজ রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।