বগুড়ায় নকল স্বর্ণের মূর্তি দিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩


শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় নকল সোনার মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
১৫ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে ভুক্তভোগী যশোর জেলার আসাদুজ্জামান মোল্লা বগুড়ার শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের পরপরই শেরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-বগুড়া শেরপুর উপজেলার উপজেলার বিশারপুর ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের খোরশেদ আলম (৫৪),আবুল কালাম(৫০) ও ইদ্রিস আলী(৫৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রমজানের আগে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী ফুরফুরা দরবার শরীফের ওরশে যাওয়ার সময় শেরপুরের খোরশেদ আলমের সঙ্গে আসাদুজ্জামানের পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে আসাদুজ্জামান ধর্মভাই হিসাবে গ্রহণ করে খোরশেদ আলমকে। এরপর নিয়মিত তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতে থাকে।
খোরশেদ আলম একপর্যায়ে আসাদুজ্জামানকে জানায়, তার এক আত্মীয় পুকুর খননের সময় ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার মূর্তি পেয়েছেন।
এই সোনার মূর্তিটি ৫ (পাঁচ) লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে।তবে মূর্তিটি কিনতে হলে আগাম দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
উক্ত প্রস্তাবে সম্মত হয়ে বৃহস্পতিবার( ১৫ মে) দুপুর ৩ টার দিকে আসাদুজ্জামান তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সগুনা গ্রামে খোরশ আলমের বাড়িতে যান।
পরে খোরশেদ,আবুল কালাম ও ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে একটি সোনালী রঙের মূর্তি গ্রহণ করেন।এ সময় আসাদুজ্জামান নগদ দুই লাখ টাকা দেন।
পরবর্তীতে আসাদুজ্জামান মূর্তিটি যাচাইয়ের জন্য শেরপুর শহরের একটি স্বর্ণের দোকানে নিয়ে গেলে জানা যায়, সেটি সোনার নয় বরং পিতলের তৈরি ।
প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আসাদুজ্জামান অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন,কিন্তু তারা তালবাহাবা শুরু করলে বৃহস্পতিবার রাতেই শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইতে তিনি জানান, উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,”এ ধরনের প্রতারণা রোধে সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে।”