বিএনপি নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় নেতা ও স্হানীয় জনসাধারণের ক্ষোভ

আপডেট: May 25, 2025 |
inbound5026244584647671842
print news

জাহাঙ্গীর আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফেসবুক আইডিতে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সালিশে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেনের প্রভাবে ০৬ (ছয়) হাজার টাকায় মীমাংসা এমন মিথ্যা ও আজগুবি খবর ছাড়িয়ে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর ছাড়িয়ে তাঁর সুনাম ক্ষুন্ন করছেন এবং তাকে কলঙ্কিত করছেন মর্মে ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঐ বিএনপি নেতা ও স্থানীয় জনসাধারণ।

মিথ্যা এমন ভিত্তিহীন বানোয়াট খবর বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করছেন অত্র এলাকার সর্বস্তরের আপামর জনসাধারণ।

এসব প্রকাশিত ও প্রচারিত মিথ্যা খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষ এসব মিথ্যা খবর প্রকাশকারী ও প্রচারকারীর যুক্তিসঙ্গত ন্যায়বিচার দাবি করেন।

খবরের সত্যতা ও আসল ঘটনা জানার জন্য ঐ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ৭ নং রাতোর ইউনিয়নের ভেদাইল গ্রামের বাসিন্দা মৃত হামিদের পুত্র মোঃ একরামুল মুন্সি (৬৫), তার স্ত্রী, তার ছেলে, তার ছেলের বউ সহ আরো দুইজন দিনমজুর মহিলাকে নিয়ে তারা তার বর্গা নেওয়ার জমিতে গত ২১মে (বুধবার) ভুট্টার মোচা ভাঙছিলেন।

সেদিনই আসরের নামাজের ওয়াক্ত মুহুর্তে একই গ্রামের আব্দুর রশিদের কম বুদ্ধি সম্পন্ন প্রতিবন্ধী কন্যা রেমি আক্তার(১৮) ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে একরামুল মুন্সির ভুট্টা খেতে যায়।

সেখানে রেমি আক্তার ছাগলকে ঘাস খাওয়ার পাশাপাশি উক্ত একরামুল মুন্সির ভুট্টা ভেঙে বাড়ি নিয়ে আসতে চাইলে একরামুল মুন্সি বাধা দিয়ে ভুট্টাগুলো নিয়ে ধাক্কা দিয়ে বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দেয়।

মেয়েটি চিল্লা-হাল্লা ও কান্না করতে করতে বাড়িতে আসে। সে তার মা’সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে বিষয়টি জানাই।

পরবর্তীতে রাতে তার বাবা ভ্যানচালক আব্দুর রশিদ বাড়ি ফিরে আসলে তাকেও এ বিষয়ে জানাই। উক্ত ঘটনার গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে স্থানীয় নেত্রীবর্গ ও গ্রামবাসীর নিকট একরামুল মুন্সির বিচার দাবি করেন।

গ্রাম্য সালিশে উক্ত বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল হোসেন সহ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মেয়েটির গায়ে হাত তোলার অপরাধে অভিযুক্ত একরামুল মুন্সিকে কান ধরে উঠা-বসা করা সহ ৬০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। উক্ত সালিশের সিদ্ধান্ত মেয়ে ও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়।

কিন্তু কিছু কচক্রী মহলসহ জামায়াত কর্মী জয়নালের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত না হওয়ায় জয়নাল ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গসহ মেয়েটি ও মেয়েটির পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে এবং চার লক্ষ টাকা আদায় করে দিবেন মর্মে একরামুল মুন্সির বিরুদ্ধে পরদিন ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন।

মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করতে তারা উক্ত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদেরকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রকাশ করা সহ স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় মর্মে জানা যায়।

আব্দুর রশিদ, তার পরিবার এবং তার মেয়ে রেমি আক্তার এ বিষয়ে আমাদেরকে প্রথমে কিছু না বললেও পড়ে তা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন।

মেয়েটি আমাদেরকে বলেছেন যে, তাকে নাকি একরামুল মুন্সী ৫০০/(পাঁচশ) টাকা দিতে চেয়েছিল।

অথচ নিউজ প্রকাশ করল ১০০/(একশত) টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। মেয়ে এবং তার পরিবারের কথা পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।

এ বিষয়ে একরামুল মুন্সি ও তার পরিবার বলেন, ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণ চেষ্টা যাই হোক না কেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন ঘটনা। এ ধরনের কোন ঘটনায় ঘটেনি।

এ বিষয়ে জামায়াত কর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, ধর্ষণ বা ধর্ষণ হওয়ার মত কোন ঘটনা তিনি প্রত্যক্ষভাবে কোন কিছু জানেন না এবং তিনি সালিশে যা চেয়েছিলেন তার একটিও হয়নি। প্রকৃত ধর্ষণ হলে তিনি তার বিচার দাবি করেন।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেন বলেন, বিষয়টি তার নিজ গ্রামেরই এবং উভয়পক্ষ তাঁর প্রতিবেশী ও আপনজন।

ধর্ষণ বা ধর্ষণ সংশ্লিষ্ট কোন ঘটনা এমনকি মেয়েটির শ্লীলতাহানির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। ধর্ষণের বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই।

যা ঘটেছিল তা মেয়েটিকে একটি ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা মাত্র। আর সেই ঘটনায় মেয়ের বাবার দাবিতেই এলাকার দুই শতাধিক লোক উপস্থিত থেকে একটি সালিশ বৈঠক হয়েছিল।

সেই সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত একরামুল মুন্সিকে শাস্তি প্রদান করা হয় এবং জরিমানা স্বরূপ মেয়েটিকে দুইটি ছাগলের বাচ্চা ক্রয় করা বাবদ ৬(ছয়) হাজার টাকা দেওয়ার জন্য উপস্থিত লোকজন একরামুল মুন্সিকে দেয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়।

সেই টাকা মেয়ে পক্ষ নিবেন না বলেও উক্ত শালিসে স্বীকার করেন। প্রভাব খাটিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের মীমাংসা ৬ হাজার টাকায় মীমাংসা করার কথা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

এই বিষয়ে তাঁকে জড়িয়ে যে সমস্ত খবর প্রকাশ ও প্রচারিত হচ্ছে তা কেবলই তার সুনাম নষ্ট করার জন্য।

তিনি আগামীতে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী মর্মে কিছু কুচক্রী মহল এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মহল মিলে উক্ত মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন বানোয়াট খবর প্রচার করে তাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন মাত্র।

যা খুবই দুঃখজনক এবং এসব মিথ্যা খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যে সকল ব্যক্তি এবং সংবাদ কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছেন তা তিনি আইনি প্রক্রিয়াসহ যা করার তা তিনি দ্রুতই প্রতিকার করবেন।

তাঁর বিরুদ্ধে এবং তাঁকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে মর্মে তিনি তাঁর হিতাকাঙ্খী, সমর্থক ও সহযোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এমন ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা খবরে কেউ যেন বিভ্রান্ত ও বিচলিত না হয়।

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আরশেদুল হক জানান, এই বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

স্থানীয় কিছু সংবাদ কর্মী ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। বিষয়টি তিনি গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর