অধ্যাদেশ বাতিল না হলে সচিবালয় অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি

আপডেট: May 26, 2025 |
inbound8295463352689296509
print news

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে গত কয়েক দিনের মতো আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা – কর্মচারীরা।

আজ সোমবার (২৬ মে) সকাল এগারটার পর তৃতীয় দিনের মতো কাজ বন্ধ করে সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তারা বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন করছেন।

সেখানে এক সমাবেশে নেতারা আজকের মধ্যেই এই আইন বাতিলের দাবী জানান। দাবী মানা না হলে সচিবালয় অচল করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

পরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে যেটি প্রবেশের প্রধান ফটক সেখানে অবস্থান নেন সবাই। এর ফলে ওই এক নম্বর গেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মিছিলে অবৈধ কালো আইন বাতিল করার দাবি সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করার পাশাপাশি শ্লোগান দিতেও দেখা গেছে বিক্ষোভকারী। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সচিবদের চুক্তি বাতিলেরও দাবী জানান তারা।

গতকাল সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অধ্যাদেশে চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। তারা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়।

সেগুলো হলো, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন;

এছাড়া কোনো কর্মচারীকে তাঁর কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তাঁর কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

অধ্যাদেশে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাঁকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর