বিদেশি শিক্ষার্থীদের মার্কিন ভিসা নিয়ে দুঃসংবাদ দিল ট্রাম্প প্রশাসন

আপডেট: May 28, 2025 |
inbound920091440150823789
print news

যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচী স্থগিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনপিআর।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে একটি মামলা করে এনপিআর।

প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমটির সরকারি অনুদানে কাটছাঁট করতে ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন, তা অবৈধ।

এর আগে, এনপিআর ও পিবিএস এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলের পেছনে প্রায় ৫০ কোটি ডলার খরচ করে করপোরেশন ফর পাবলিক ব্রডকাস্টিং।

এ থেকে পিবিএস ১৭ ও এনপিআর যথাক্রমে ২ শতাংশ বরাদ্দ পায়। কিন্তু গত মাসে গণমাধ্যম দুটির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এরপর এনপিআরসহ সম্প্রচারমাধ্যম পিবিএসের সরকারি সহায়তা বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেশন ফর পাবলিক ব্রডকাস্টিং ও অন্যান্য সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পছন্দ করেন না, এমন সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য এনপিআরকে শাস্তি দিতে ওই নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছে।

এই আদেশের মাধ্যমে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে দেয়া যে অধিকার এনপিআর ও স্বতন্ত্র সরকারি রেডিওগুলো ভোগ করে, তা খর্ব করা হয়েছে।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোকে শিক্ষার্থী ও বিনিময় কর্মসূচির ভিসার সাক্ষাৎকারের শিডিউল দেয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

বিদেশি আবেদনকারীদের জন্য শিগগিরই কঠোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চালু করার প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়,পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কোনো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বা এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করা যাবে না।

এই প্রক্রিয়ার আওতায় আবেদনকারীদের ইনস্টাগ্রাম, এক্স, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে করা পোস্ট, শেয়ার ও মন্তব্য খতিয়ে দেখা হবে। যাতে করে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কিছু রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীর ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর