সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও দেখা যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়


রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক ও রেল স্টেশনগুলোর পাশাপাশি এবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও দেখা যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এবার নৌপথে মানুষজন বেশ স্বস্তি ও নিরাপত্তার কথা বলেছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) সদরঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই লঞ্চ টার্মিনালের বিভিন্ন ঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। কেউ আগেই টিকিট কেটে কেবিনে উঠেন।
কেউ কেবিন না পেয়ে ডেকে জায়গা নেন। কারো চোখে ঈদের উচ্ছ্বাস, কারো চোখে দীর্ঘ পথ শেষে প্রিয়জনের মুখ দেখার প্রতীক্ষা।
লঞ্চেই স্বস্তির যাত্রা উল্লেখ করে বরিশালগামী এমভি সুন্দরবন-৯ লঞ্চের যাত্রী কালাম গাজী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলেও ঈদে লঞ্চেই যাই।
বাসে এখন ভাড়া বেশি, তাছাড়া পরিবার-পরিজন নিয়ে লঞ্চই সবচেয়ে আরামদায়ক। লঞ্চের মতো শান্তির যাত্রা আর কিছুতে হয় না।
ভোলাগামী যাত্রী আরিফ হাসান বলেন, ভোলায় যাওয়ার একমাত্র ভরসা নৌপথ। এবার যাত্রাটা ব্যতিক্রম-বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে না কেউ, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীও নেয় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির জন্য মালিকরা সুবিধা করতে পারছে না।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এবার দেখা যাচ্ছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। প্রতিটি লঞ্চে মোতায়েন আছেন ৪ জন করে আনসার সদস্য।
এর পাশাপাশি কাজ করছেন ডিএমপি, র্যাব, নৌপুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং বিআইডব্লিউটিএর সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও নজরদারি করছেন।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. মোবারক হোসেন বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছেন।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সেভাবে পাইনি। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় যাত্রা এবার অনেক স্বস্তিদায়ক।
প্রসঙ্গত, ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে বুধবার (৪ জুন) রাত থেকেই শুরু হয়েছে ঈদের বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস, চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন যাত্রী সংখ্যার ওপর নির্ভর করে সাত থেকে আটটি লঞ্চ যাতায়াত করছে। অন্তত ১৬টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই সেবার জন্য।