শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীকে সরিয়ে দিলেন ট্রাইব্যুনাল


বিতর্ক ওঠায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল গণি টিটুকে সরিয়ে দিলেন ট্রাইব্যুনাল। নতুন স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আমির হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে আদালত অবমাননার মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আইনজীবী আমিনুল গণি টিটুকে নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকেই টিটুকে নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। সে প্রেক্ষিতেই আজ তাকে সরিয়ে দেয়া হলো।
আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন তিনি। পরে টিটুকে নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়ায় আদালত স্টেট ডিফেন্স থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’ এমন বক্তব্যের জন্য শেখ হাসিনাসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে আজ। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে শুনানি হবে।
এ ধরনের মামলায় কোন ব্যক্তির পক্ষে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগ দেয়ার বিধান না থাকলেও ন্যায় বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরও হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কোন ব্যাখ্যা দেননি শেখ হাসিনা। এখন আইন অনুযায়ী এই দুজনের সাজা দিতে পারবে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১ বছরের সাজা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে।
উল্লেখ্য, ২২৭ মামলায় ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি, গাইবান্ধার এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের অভিযোগে শেখ হাসিনা সহ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।