ছাত্রশিবিরের প্রচারণার ব্যানারে ঢাকা পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি ও জুলাই গ্রাফিতি


ক্যাম্পাস প্রতিনিধি: রাজধানী ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচির এবং জুলাই গ্রাফিটির উপর প্রচারণামূলক ব্যানার লাগিয়েছে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রশিবির।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম, লোগো, স্লোগানে, ব্যানার ব্যবহার করে সিট প্ল্যানের উপরেই লাগানো হয়েছে নানা প্রচার উপকরণ। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরাও।
এই বিষয়ে একজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন: “শুধু সময়সূচি আর রোল নম্বর জানতেই তো আসি, কিন্তু চোখে পড়ে রাজনৈতিক লোগো। এটা তো কোনো রাজনৈতিক সভার স্হান না। পরীক্ষার মতো গুরত্বপূর্ণ সময়ে এসব কীভাবে চলে?”
অভিভাবকরা বলছেন, এইচএসসি একটি পাবলিক পরীক্ষা, যেখানে নিরপেক্ষতা ও মনোসংযোগ জরুরি। সেখানে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের প্রচারণা প্রকাশ্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঢেকে বসলে সেটি শুধু অনৈতিকই নয়, শিক্ষার পরিবেশের জন্যও হুমকিস্বরূপ।
এই বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, আজ এইচএসসি পরীক্ষা তাই প্রত্যেকটা সংগঠন নিজ নিজ জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতেছিল ।
তারপর আমরা দেখতে পাই, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য যে আসন বিন্যাস দেওয়া হয় সেটা এবং জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণে যে গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছিল, সেখানে একটি গুপ্ত সংগঠনের ব্যানার লাগানো হয়েছিল।
এর মাধ্যমে তারা জুলাই শহীদদের অবমাননা করেছে এবং পরীক্ষা দিতে আসছিল দূরদূরান্ত থেকে তাদের জন্য যে আসন বিন্যাস দেয়া হয়েছিল সেটা ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।
এ বিষয়ে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।এবং অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে আবেদন থাকবে যে এ বিষয়ে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।
এবিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার সদস্য সচিব শামসুদ্দিন বলেন, এটা তারা মোটেও ঠিক করেনি। আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।
যে জুলাইয়ের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি সেটা তারা ঢেকে দিতে চাচ্ছে এটা তারা ঠিক করেনি।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক জানায়,বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কলেজ গেটের সামনে সাময়িক ভাবে আমরা একটা ব্যানার লাগাই।
কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমরা অবগত হই এইখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ছিল এবং একটি সিট প্লানের কাগজ ছিলো।
তখনই আমরা তাৎক্ষনিক সরিয়ে অন্যস্থানে লাগাই। ইসলামি ছাত্রশিবির জুলাই অভ্যুত্থান কে ধারন করেই ছাত্রদের কল্যানে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সিট প্লান গতকাল থেকেই সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।কলেজের গেটেও স্পষ্ট সিট প্লান ছিল।ভিতরে অনেক সিট প্লান লাগানো হয়েছে।