বাংলাদেশি টাইগারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে পাকিস্তানের মারাত্বক ব্যাটিং বিপর্যয়


শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার ফখর:
পেসার শরীফুলের বল মিড উইকেট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ফখর জামান। টাইমিং মেলেনি। বল তার গ্লাভসে লেগে যায় উইকেটের পেছনে। বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু ফখর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের আগেই হাঁটা শুরু করেন ড্রেসিংরুমে। পাকিস্তান হারাল তৃতীয় উইকেট। শরীফুল পেলেন দ্বিতীয় উইকেট। ১ চার মেরে ফখর আউট ৮ রানে।
দ্বিতীয় ওভারে আরও এক উইকেট তুলে নিলো বাংলাদেশ:
দ্বিতীয় ওভারে আরও একটি সাফল্য পেল বাংলাদেশ। এবার শরীফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ হারিস। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। ৯ রানেই নেই পাকিস্তানের ২ উইকেট। ফখর জামানের সাথে যোগ দিয়েছেন সালমান আগা।
প্রথম ওভারেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ:
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। মাহেদী হাসানের করা প্রথম ওভারের ষষ্ঠ বলটি ডিপ পয়েন্টে ফেলে ২ রান নিতে যান সাইম ও ফখর জামান। রিশাদ দ্রুত কুড়িয়ে সেটা দেন লিটন দাসকে। লিটন ভেঙে দেন উইকেট ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই। সাইম ফিরে যান ৪ বল খেলে ১ রান করে।
ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একাই লড়লেন জাকের আলী অনিক। সতীর্থরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে, তখন অন্য প্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশকে ১৩৩ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন তিনি। শেষ বলে আউট হওয়ার সময় খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
শুরুটা হয় নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখের (৩) বিদায়ে। তবে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি, উল্টো ব্যর্থ হয়েছেন। দলীয় ৫ রানে পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ হারিসকে ক্যাচ দিয়ে।
দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ২২ রানের জুটি গড়ে ইনিংসের হাল ধরার ইঙ্গিত দেওয়া লিটন দাসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিপরীতে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দলীয় ২৫ রানেই ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও। রানের খাতা খোলার আগে প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি।
অন্যদিকে একপ্রান্ত আগলে রেখে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখা পারভেজও যেন আর ধৈর্য ধরতে পারছিলেন না।
তা না হলে ২৫ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের দায়িত্ব কাঁধে না নিয়ে বড় শট হাঁকাতে যাবেন কেন? তবে পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার আহমেদ দানিয়ালের বলকে মিড অন পার করাতে পারেননি। পার করার আগেই ১৩ রানে ফাহিমের হাতে ধরা পড়েন প্রথম ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান।
সেখান থেকে দলকে ১৩৩ রানের সংগ্রহটা এনে দিয়েছেন জাকের আলী অনিক ও শেখ মেহেদী। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৫৩ রানের জুটি না গড়লে এই সংগ্রহটা আর পাওয়া হতো না। সমান ২ চার ও ছক্কায় ৩৩ রানে মেহেদী আউট হলে ভেঙে যায় সেই জুটি।
তবে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন জাকের। খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ ছক্কা ও ১ চারে। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সালমান, দানিয়াল ও আব্বাস আফ্রিদি।