জকসুসহ দুই দফা দাবি জবির আন্দোলনকারীদের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের হুশিয়ারি

আপডেট: August 22, 2025 |
inbound992476203620778667
print news

তানিয়া শবনম, জবি প্রতিনিধি: সম্পূরক বৃত্তি প্রদান এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের নীতিমালা অনুমোদন ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

দুই দফায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা। আগামী রবিবার দুপুর ১২ টার মধ্যে বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জকসুর নীতিমালা পাস না করানো হলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে করে দিয়ে ‘ব্রেক দ্যা সাইলেন্স’ কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এর আগে দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশছাত্র অধিকার পরিষদ, জবি শাখার সভাপতি একেএম রাকিব। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হল নেই।

তাই প্রায় ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে আমরা গত মে মাসে লং মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করি। সেখানে সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে।

কিন্তু বাজেট অনুমোদিত হলেও সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘৫ আগস্ট নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে দাবি জানিয়ে আসছে-ক্যাম্পাসে সুস্থ রাজনীতি চর্চা নিশ্চিত করতে এবং পেশিশক্তির মহড়া বন্ধ করতে অবশ্যই ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।

কিন্তু এই প্রশাসন এতটাই অদক্ষ যে এখনো পর্যন্ত জকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি, অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে।

প্রশাসনের এ গড়িমসির কারণে শিক্ষার্থীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।’

পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন জকসুর নীতিমালা সিন্ডিকেটে অনুমোদন ও সম্পূরক বৃত্তি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আগামী রবিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আমরা অবস্থা কর্মসূচিই পালন করবো।

দুপুর ১২টার মধ্যে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকে নীতিমালা অনুমোদন না করা হলে আমরা “ব্রেক দ্য সাইলেন্স” কর্মসূচি পালন করবো, যেখানে ভিসি ভবনের সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।’

এসময় অন্যান্য ছাত্রসংগঠনগুলোরা নেতাকর্মীবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি উপলক্ষে তারা গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান করেন। দ্বিতীয় দিন দেওয়াল লেখন কর্মসূচি পালন করেন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর