অব্যাহতি ও ভ্যাট ফাঁকিতে বছরে ১.৮৮ লাখ কোটি টাকা হারিয়েছে এনবিআর: সিপিডি

আপডেট: August 26, 2025 |
inbound3512745051457181061
print news

দেশের ভ্যাট ব্যবস্থায় অব্যাহতির সুযোগ ও ব্যাপক কর ফাঁকির কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে সংস্থাটি।

সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী তামীম আহমেদ বলেন, “আমরা যেটা করেছি, ইফেক্টিভ রেট (ভ্যাটের কার্যকর হার) বের করেছি, যেটা আসছে ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সেটি দিয়ে আমরা দেখেছি, আমাদের একচুয়াল ভ্যাট আদায় কত আসা উচিত। মানে ভ্যাট আদায় যত হয়েছে সেটা বাদ দেওয়ার পরেও সেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকার মত আসছে।”

গবেষণায় বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এনবিআর ভ্যাট বাবদ আদায় করেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অথচ সে সময়ে সম্ভাব্য ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ কর ফাঁকি ও অব্যাহতির কারণে এনবিআর এই বিপুল রাজস্ব হারিয়েছে।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ হলেও বহু পণ্য ও সেবায় অব্যাহতি রয়েছে। সেসব হিসাব করে দেখা যায়, বর্তমানে ভ্যাটের কার্যকর হার ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এ গবেষণার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২৩টি কোম্পানি থেকে করপোরেট কর এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার ৩৮৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাটের তথ্য সংগ্রহ করেছে সিপিডি।

গবেষণায় আরও বলা হয়, ৭২ শতাংশ কোম্পানি মনে করে করপোরেট কর ব্যবস্থায় কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বড় চ্যালেঞ্জ। ৮২ শতাংশের মতে, তাদের ওপর ‘অন্যায্য’ হারে কর বসানো হয়। এছাড়া ৭৯ শতাংশ কোম্পানি এনবিআর কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার অভাবকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

গবেষণা প্রসঙ্গে এক এনবিআর কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, ২০২৫ সালের তথ্য ব্যবহার করলে গবেষণাটি আরও প্রাসঙ্গিক হতো। জবাবে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “আমরাও চেয়েছিলাম ২৫ সালের ডেটা নিয়ে গবেষণা করতে। কিন্তু আনফরচুনেটলি এনবিআরে তথ্য চেয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।”

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর