শিবগঞ্জে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ছিনতাই ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ


শাহাজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জের পল্লীতে এক গৃহবধূ (২০) কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ছিনতাই ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি গত ৭ আগস্ট রাতে ঘটলেও তা থামাচাপায় পড়ে যায়।
অবশেষে ২৭ আগস্ট বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে বেড়িয়ে আসে ভেতরের ঘটনা।
অনুসন্ধানে স্থানীয় ও ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবারের বরাতে জানা যায়, ঐ গৃহবধূর দাড়িদহ গাছুয়াপাড়া গ্রামের সৈয়দ নিশানের সাথে ৩ মাস আগে বিবাহ হয়। নিশান ঐ গ্রামের সেবুল মিয়ার ছেলে।
বিবাহের পর থেকেই নিশান তার স্ত্রী তানিয়াকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
গৃহবধূ তার স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৭আগস্ট নিশানকে তালাক দিয়ে বের হওয়ার সময় রাত ৯টার দিকে উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকা থেকে আমতলী এলাকার দৌলত শেখের ছেলে শিমুল (৩০) সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন মিলে ঐ গৃহবধূকে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দেওয়ানতলা নামক স্থানে একটি ইট ভাটায় নিয়ে নিশানের হুকুমে শিমুল ঐ গৃহবধূর শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার খুলে নেয়।
হত্যার ভয় দেখিয়ে গৃহবধূর নিকট থেকে বিকাশ ও নগদ একাউন্টের মাধ্যমে নয় হাজার চারশত টাকা এবং ঐ গৃহবধূর নিকটে থাকা এগারো হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
শিমুল নামের বখাটে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে।
ঐ গৃহবধূ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি যেন আইনের আশ্রয় না নেই সে জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছিলো। আমাকে হয়রানি করা হচ্ছিলো। এঘটনায় নিশানও জড়িত আছে।
আমার প্রতি অন্যায়ের প্রতিকার পেতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিমুলের সাথে যোগাযোগ করে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার এসআই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা আল মামুন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ের সঠিক আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।