ঢাকায় এক তরুণীর অপমৃত্যু

ঢাকায় এক তরুণীর ‘অপমৃত্যু ’ হয়েছে। একে স্বামীর বাড়ির লোকজন বলছেন, ‘আত্মহত্যা’। অন্যদিকে তরুণীর ভাই বলছেন, আত্মহত্যার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য না।
আজ শুক্রবার ভোরে ওই তরুণীকে ‘অচেতন’ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মারা যাওয়া তরুণীর নাম রফিকা রুমা (২৬)। তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জ-২-এর জামতলা এলাকায় স্বামীর বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ বলছে, রফিকা রুমার স্বামী একটি চকলেট ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। এই দম্পতির চার বছরের একটি সন্তান আছে।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, স্বামীর বাড়ির লোকজনের ভাষ্য সন্তানকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুমা ব্যাগপত্র নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যেতে চান। স্বামী ও শাশুড়ি রুমাকে বুঝিয়ে বাসায় রাখেন। রাতে স্বামী-স্ত্রীসহ বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়েন।
ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে রুমা শয়নকক্ষের পাশের বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন। টের পেয়ে স্বামী-শাশুড়ি দৌড়ে বারান্দায় এসে রুমাকে অচেতন অবস্থায় দেখেন। তাঁরা তাঁকে নামান। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
রফিকা রুমার ভাই হুমায়ূন কবীর বলেন, তাঁর বোনের যে পারিবারিক শিক্ষা, তিনি নিজের জীবনকে এভাবে শেষ করে দিতে পারেন না। তিনি মানসিকভাবে অনেক শক্ত মানুষ ছিলেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ও (রুমা) আত্মহত্যা করবে, কিছুতেই বিশ্বাস করি না।’
হুমায়ুন কবীরের ভাষ্য, রুমার সঙ্গে তাঁর শাশুড়ি অনেক দুর্ব্যবহার করতেন। তাঁর সামনেও রুমার সঙ্গে শাশুড়ি দুর্ব্যবহার করেছেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘তবুও আমি বোনকে বুঝিয়েছি। বলেছি, মুরব্বিকে সরি বলো। সে আত্মহত্যা করেছে, এটা আমাদের কাছে কিছুতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
খিলক্ষেত থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুস সামাদ বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।
বৈশাখী নিউজ/ফারজানা