ফাইজারের টিকা দেওয়ার জন্য ঢাকায় চারটি কেন্দ্রের প্রস্তাবণা

আপডেট: June 2, 2021 |

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রীনা ফ্লোরা বলেছেন, ফাইজারের টিকা দেওয়ার জন্য ঢাকায় চারটি কেন্দ্রের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে। কেন্দ্রগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।

রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলেন, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ফাইজারের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা যাবে। তিনি বলেন, যারা ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন, তাদেরকে পর্যায়ক্রমে এই টিকা দেওয়া হবে। ডা. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, ফাইজারের টিকা ঢাকাতেই সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ ধরনের টিকা। মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটিকে সংরক্ষণ করতে হয়।

এই টিকা সংমিশ্রণের জন্য দুই এমএলের সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা গর্ভবতী মা এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে যাদের এলার্জি প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস (অ্যানাফাউল্যাক্সিস) আছে তাদের এই টিকা দেওয়া যাবে না। আর প্রথম ডোজ দেওয়ার পরে যদি এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। এছাড়া কোনো ব্যক্তির শরীরে জ্বর থাকলে অর্থাৎ ৩৮.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি তাপমাত্রা থাকলে টিকা দেওয়া যাবে না। এমনকি গ্রহীতার যদি কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ থাকলে সেরে না ওঠা পর্যন্ত টিকা দেওয়া যাবে না। এছাড়া অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিকেও এ টিকা দেওয়া যাবে না।

 

এই টিকা সক্রিয় টিকায় রূপান্তর করতে একটি ডাইলুয়েন্টের প্রয়োজন হয়। কোভ্যাক্স থেকে এই ডাইলুয়েন্ট আনা হচ্ছে। ডাইলুয়েণ্টের পর আগামী ৭ জুন কোভ্যাক্স থেকে আমাদের কাছে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, টিকার অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা আশা করছি, ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে টিকা প্রদান শুরু করা যাবে। টিকার পরিমাণ অত্যন্ত কম, যারা ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন, তাদেরকে এই টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জানা যায়, ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশন অর্থাৎ বাহুর উপরের মাংসপেশিতে প্রয়োগ করতে হবে। যেহেতু ফাইজারের টিকা জমানো, জীবাণুমুক্ত, প্রিজারভেটিভ এবং এডজুভেন্ট মুক্ত, মাল্টি-ডোজ কন্সেট্রেট অর্থাৎ ঘনীভূত তাই মানবদেহে প্রয়োগের আগে অবশ্যই সংমিশ্রণ করতে হবে। তাই সঠিকভাবে টিকা দিতে শূন্য দশমিক ৩ এমএল এডি সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে এক ভায়ালের সঙ্গে ডাইলুয়েট মিশ্রণের পর ৬ ডোজ টিকা প্রস্তুত হবে।

সব দেশের জন্য কোভিড টিকা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশে আসা প্রথম চালান এটি । তিনি বলেন, এই টিকা কোনোভাবেই আলো ও তাপের সংস্পর্শে সংরক্ষন করা যাবে না। এর দুটো ডোজ দেওয়া হবে ৫০ হাজার নাগরিককে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর