যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে : বাইডেন

আপডেট: August 27, 2021 |

 

কাবুল বিমানবন্দরে চালানো আইএস এর আত্মঘাতীয় হামলায় এ পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে নারী, শিশু, আফগান ও মার্কিন সেনা রযেছে। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক।

এই হামলায় ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। যা আফগানিস্তানে গেল ২০ বছর ধরে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এই ঘটনার পর হোয়াইট হাউস থেকে ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ও নীরবতা পালন করেন।

এরপর তিনি জানান, যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের দেখে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা ভুলে যাবো না। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তাদের দেখে নেওয়া হবে। তাদের এর চড়া মূল্য দিতে হবে।’

‘আমরা আমাদের শক্তি দিয়ে এর জবাব দিবো। যথাসময়ে, যথাস্থানে এবং আমাদের পন্থায় এর জবাব দিবো। এই আইএস সন্ত্রাসীরা জিতবে না। আমরা আমাদের আমেরিকানদের উদ্ধার করবোই। আমাদের আফগান সহযোগীদের বের করে নিয়ে আসবোই। আমাদের মিশন চলবে।’ যোগ করেন তিনি।

বাইডেন এও জানিয়েছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে আরও সৈন্য পাঠাবেন আফগানিস্তানে। তারপরও ৩১ আগস্টের মধে তাদের নাগরিক ও সহযোগীদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনবেন। অর্থাৎ আত্মঘাতী বোমা হামলা হলেও তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ২০ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধকে আর প্রলম্বিত করতে চান না তিনি ও তার প্রশাসন।

এ বিষয়ে বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডে ভীত হয়ে থেমে যেতে পারি না। তাদেরকে আমরা আমাদের মিশন থামিয়ে দেওয়ার সুযোগ দিতে পারি না। আমরা আমাদের মিশন অব্যাহত রাখবো। মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনবো। ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর এটাই উপযুক্ত সময়।’

আফগানিস্তানে এখনো ১ হাজার মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ৫ হাজার আফগান সহযোগী রয়েছেন।

এদিকে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট তথা আইএস। বৃহস্পতিবার রাতে আইএস তাদের নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাকের মাধ্যমে বিষয়টি জানায়। মূলত আইএস এর সহযোগী সংস্থা ইসলামিক স্টেট খোরাশান (আইএসআইএস-কে) এই হামলা চালিয়েছে। যারা এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সিরিয়া ও ইরাকে যুদ্ধ করেছিল।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর