বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ২৩ কোটি ২৬ লাখ

আপডেট: September 27, 2021 |
print news

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ কোটি ২৬ লাখের বেশি মানুষ। আর মারা গেছেন ৪৭ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ।

এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২০ কোটি ৯২ লাখের বেশি মানুষ। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে মোট ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৩ হাজার ৬১১ জনের শরীরে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৭ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট ২০ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৬ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৯০১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় এক হাজার। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫৭ হাজার।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে সবার ওপরে রয়েছে রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ কোটি ২৫ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৭ লাখ ৬১ হাজার।

বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এখনও সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ছয় হাজার ৩১৭ জন। দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ৩১ লাখ ৮৬ হাজার ২৬১ জন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার ২৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৮ জন মারা গেছেন।

সংক্রমণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৪৩ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৭ হাজার ২২৫ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার ৪২০ জন।

সংক্রমণের ওই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে সংক্রমিতের সংখ্যা দুই কোটি ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪৮ জন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৩৪ লাখ ৩৭৩ জন।জনের।

এদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৮০৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২২ হাজার ৪৯৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৪ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৯০০ জনের।

অন্যদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৫৯৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৯৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৮১২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৯ জনের।

অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৯২ জন।

এদিকে সংক্রমণের তালিকায় এখন বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৩৫১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৪১৪ জন। আর ১৫ লাখ ১১ হাজার ৪৭৯ জন সুস্থ হয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৬ হাজার ১০৯ জন। আর করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৪ লাখ ২১ হাজার ৮৮৩ জন।

করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অবস্থা আবারও খারাপ হচ্ছে।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ এবং শিশুদেরও টিকা দেওয়া শুরু করেছে। সূত্র : ওয়ার্ল্ডোমিটার

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর