নতুন ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘হাইপারসনিক’ দাবি উত্তর কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, মঙ্গলবার তারা নতুন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এটির নাম হাসং-৮।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামরিক বাহিনীর পাঁচশালা পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রব্যবস্থার একটি এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। এটিকে তারা ‘কৌশলগত অস্ত্র’ বলেছে, যার অর্থ সাধারণত এর পারমাণবিক সক্ষমতা রয়েছে।
মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে আরেকবার ইঙ্গিত মিলেছে যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পিয়ংইয়ং অস্ত্র প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ বলেছে, ‘এই অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়নে… দেশের আত্মরক্ষার সক্ষমতা সবদিক দিয়েই বেড়েছে।’
এ নিয়ে একই মাসে তিন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। দেশটি ইতোমধ্যে নতুন ধরণের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।
সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে হাইপারসনিক অনেক বেশি দ্রুত গতির এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য। ফলে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থার পক্ষে একে শনাক্ত করা কঠিন।
কেসিএনএ বলছে, পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ নিয়ন্ত্রণ এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র বর্জন করার জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক এ পর্যন্ত উত্তেজনার মধ্য দিয়েই পার হয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপে জাপানের ৩৫ বছরের উপনিবেশায়নের কারণে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সবসময়ই উত্তেজনাময়।
এসব সত্ত্বেও তারা নতুন অস্ত্র পদ্ধতির উন্নয়ন চালিয়ে যাবে, এটি প্রমাণ করতে পিয়ংইয়ং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।