কুমিল্লার ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: October 14, 2021 |

কুমিল্লার ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপিত হয়েছে, সেটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়কাল তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি মহল স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে তারা সবসময় ষড়যন্ত্র করছে। তারাই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক, তা চায় না। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে গুজব রটিয়ে যাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে তথ্য উপস্থাপন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করছে। গত কয়েক বছরের এ ধরনের ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এগুলোর পেছনে হীনউদ্দেশ্য ছিল, সরকার সেগুলো কঠোর হাতে দমন করেছে।

তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে, পুলিশ তা তদন্ত করছে। খুব দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা বিকৃতভাবে ছড়িয়ে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অপচেষ্টা করেছে।

এতে প্রমাণিত হয় যে, একটি মহল যারা সব সময় এ অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে জড়িতদের কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, অভিযুক্ত হলেই যে ঘটনা সত্য, সেটা তো নিশ্চিত করে বলা যায় না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি মহল সবসময় গুজব রটানোর কাজে লিপ্ত। তারা গুজব রটিয়ে দেশের সম্প্রীতি বিনষ্টের অপকর্মে লিপ্ত।

পদ্মা সেতুর পিলার স্থাপনের কাজ শুরুর পর গুজব রটিয়ে দেওয়া হয়। এটি কারা করেছে? যারা বলেছিল পদ্মাসেতু এ সরকার করতে পারবে না, তারাই এটা করেছে।

তিনি বলেন, তারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিশ্বব্যাংককে সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছিল।

পরে বিশ্ব ব্যাংক কানাডার আদালতে হেরে গিয়ে প্রমাণিত হয়েছে সব অভিযোগ অসত্য। সেই একই মহল এ গুজব ছড়িয়েছে। তারাই আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপকর্ম করেছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর